
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বাংলাদেশের বেসরকারি মালিকানা-ধীন ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজ নেপালের রাজধানী কাঠমাণ্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত হয়ে নারী-শিশুসহ কমপক্ষে ৪৯ জন নিহত হয়েছে। উড়োজাহাজটিতে ৭১ জন আরোহীর মধ্যে ৬৭ জন ছিল যাত্রী, বাকি চারজন ক্রু। পাইলট-ক্রুসহ আরোহীদের ৩৬ জন বাংলাদেশি, ৩৩ জন নেপালের এবং একজন করে যাত্রী ছিল চীন ও মালদ্বীপের। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম গত রাত সাড়ে ১০টায় জানিয়েছেন, ৩৬ বাংলাদেশির মধ্যে ৯ জন কাঠমাণ্ডুর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ২৫ জন বেঁচে নেই। বাকি দুজন নিখোঁজ রয়েছে বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশের স্থানীয় সময় সোমবার দুপুর ২.৩০ মিনিটে কাঠমান্ডু বিমানবন্দরে অবতরণের সময় দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয় বোম্বাইডার ড্যাস কিউ৪০০ বিমানটি। টার্বোপ্রপ ইঞ্জিনচালিত এই বিমানটি রানওয়ের বদলে এয়ারপোর্টের একটি ফুটবল মাঠে দাঁড়িয়ে পড়ে।
সিগন্যালের ভুলে দুর্ঘটনা: কাঠমাণ্ডু বিমানবন্দরের টাওয়ারের ভুল মেসেজের কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করছেন ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইমরান আসিফ। গতকাল সন্ধ্যায় রাজধানীর বারিধারায় প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের পাইলট ও টাওয়ারের তিন মিনিটের কনভারসেশন (কথাবার্তা) পাওয়া গেছে। সেখানে পাইলটকে টাওয়ার থেকে ভুল বার্তা দেওয়ার বিষয়ে সন্দেহ করা হচ্ছে। বৈমানিকদের দিক থেকে কোনো গাফিলতি ছিল না।’
এর আগে ইউএস-বাংলার জিএম (মার্কেটিং) কামরুল ইসলাম জানান, দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে তাঁদের দুজন কর্মকর্তা নেপালের উদ্দেশে রওনা হয়ে গেছেন। আহতদের নেপালের চারটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘তিন বছরে ৩৬ হাজার ফ্লাইট আমরা পরিচালনা করেছি। এর আগে এমন কখনো হয়নি।’
গ্রন্থনা ও সম্পাদনা: এম কে রায়হান