
ঢাকা: কোন ধরণের নোটিশ ছাড়া ও সরঞ্জাম সরানোর পর্যাপ্ত সময় না দিয়ে রামপুরার ইস্টার্ন হাউজিং এর বনশ্রী প্রজেক্টে অবস্থিত স্কুল, কলেজ, দোকানপাঠ উচ্ছেদ এবং মোবাইল কোর্ট পরিচালনা কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে রাজধানীর রামপুরার ইস্টার্ন হাউজিং এর বনশ্রী প্রজেক্টে অবস্থিত স্কুল, কলেজ, দোকানপাঠ উচ্ছেদ বন্ধে কেন নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। স্থানীয় সরকার সচিব, গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব, রাজউক চেয়ারম্যান ও সিটি করপোরেশনের মেয়রসহ সংশ্লিষ্টদের উক্ত রুলের জবাব দিতে বলা হযেছে।
বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি তারিক-উল হাকিম ও বিচারপতি মো: ফারুকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শম রেজাউল করিম। তাকে সহযোগিতা করেন আইনজীবী পার্থ সারথী রায় ও অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমাতুল করিম।
পরে আইনজীবী ইশরাত হাসান সাংবাদিকদের বলেন, আমরা আদালতে বলেছি, ইস্টার্ন হাউজিং এর বনশ্রী প্রজেক্টটি সিটি করপোরেশনের অন্তভূক্ত না। তাই এ প্রজেক্ট উচ্ছেদ করার অধিকার সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষের নেই। এছাড়া পর্যাপ্ত সময় না দিয়ে এখানকার স্থাপনা উচ্ছেদ করাটা অমানবিক হবে।
ইশরাত হাসান বলেন, বনশ্রী প্রজেক্টে শত শত দোকানপাঠ ও কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর আগে গতকাল বনশ্রী প্রজেক্ট উচ্ছেদে স্থগিতাদেশ চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন বনশ্রী কল্যাণ সমিতির প্রাক্তন সেক্রেটারি নুরুল কবির নিরু।
গুলশানে জঙ্গি হামলার পর থেকে রাজধানীর বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় অবস্থিত অনুমোদনহীন স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
নিউজনেক্সটবিডি ডটকম/এফএইচ/এসআই