
পটুয়াখালী: জেলার বাউফলে এক মা ও তার মেয়েকে গণধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় স্থানীয়রা ধাওয়া দিয়ে একজনকে আটক করেছে।
গণধর্ষণের ঘটনায় রোববার বিকেলে বাউফল থানায় ৬ জনকে আসামি করে ধর্ষণ মামলা করা হয়েছে। পুলিশ মা ও মেয়ের জবানবন্দি প্রদান এবং আসামিকে পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে পাঠিয়েছে। বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আযম খান ফারুকী নিউজনেক্সটবিডি ডটকমকে ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন।
ওসি জানান, উপজেলার উত্তর আদাবাড়িয়া গ্রামের এক গৃহবধূ (৩৫) তার মেয়েকে (১৭) নিয়ে শনিবার পাশের গ্রামে বেড়াতে যান। পথে সোহেল নামে এক যুবক তাদের পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে নিজের মোটরসাইকেলে তুলে নেয়।
পরে তাদের চোখে-মুখে স্প্রে করলে মা ও মেয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এরপর তাদের স্থানীয় কালাইয়ার শৌলা পার্কে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে মা-মেয়েকে নিমতিঘাট থেকে ট্রলারে উঠিয়ে রাত ১০টার দিকে কেশবপুর ইউনিয়নের নিশানবাড়িয়া চরে নেওয়া হয়। এ সময় ট্রলারে আগে থেকে থাকা পাঁচজন যুবক মোটরসাইকেল চালক সোহেলের সহযোগিতায় মা-মেয়েকে ধর্ষণ করে। হঠাৎ চেতনা ফিরলে ধর্ষণের শিকার মেয়েটি চিৎকার করে ওঠে। চিৎকার শুনে লোকজন এগিয়ে এলে ধর্ষণকারীরা দৌড়ে পালিয়ে যায়। কিন্তু নূর আলম নামের একজনকে ধরে ফেলে তারা। পরে নূর আলম এবং মা-মেয়েকে তালতলী গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়।
কেশবপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন লাবলু জানান, বাউফল থানা পুলিশকে খবর দিলে রাত ১২টার দিকে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। ধর্ষণের শিকার মেয়েটি দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী বলে জানা গেছে।
নিউজনেক্সটবিডি ডটকম/প্রতিনিধি/এমএস/এসআই