
ঢাকা: এত সব পরিসংখ্যান গেলো কই? এই মুহূর্তে এমন প্রশ্ন তুলতেই পারেন অনেকে। কেননা সব পরিসংখ্যানের ‘ধাজিয়া উড়িয়ে’ সামনে এগিয়ে গেছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। যেখানে নির্বাচনের আগের দিন পর্যন্ত সব ধরনের জরিপেই এগিয়েছিল ডেমোক্রেট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন। কিন্তু বাস্তবতা যে ভিন্ন, বলছে অন্য কথা। কারণ একটাই, জরিপে নয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয় ভোটে।
৫৩৮টি ভোটের মধ্যে ২৭৮টি ট্রামের দখলে আর হিলারি পেয়েছেন ২১৮টি ভোট।
যদিও হিলারি-ট্রাম্পের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে এমন আভাস দিয়েছে অনেক জরিপ। কিন্তু এ যে রাজনীতি, সব খেলার মহাখেলা এখানেই। তাই হয়তো রাজনীতিতে একেবারে আনাড়ি ট্রাম্প যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী মনোনীত হবেন তা প্রথমে কেউ বিশ্বাস করতে না চাইলেও অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ হিলারির সঙ্গে পাল্লায় নিজেকে ঠিকই সামনে এগিয়ে রেখেছেন তিনি।
নির্বাচনের আগের দিন প্রকাশিত একটি জরিপে ডেমোক্রেটিক প্রার্থী এগিয়ে আছেন বলে উল্লেখ করা হয়। এবিসি নিউজ এবং ওয়াশিংটন পোস্ট সোমবার তাদের সর্বশেষ জরিপ প্রকাশ করেছিল। এতে ট্রাম্পের চেয়ে চার পয়েন্ট এগিয়ে ছিলেন হিলারি।
বৃহস্পতিবার থেকে রোববার পর্যন্ত দুই হাজার ২২০ জন সম্ভাব্য ভোটারদের মধ্যে পরিচালিত জরিপ বলেছিল, শতকরা ৪৭ ভাগ ভোটার হিলারিকে এবং শতকরা ৪৩ ভাগ ভোটার ট্রাম্পকে সমর্থন করছেন। লিবার্টারিয়ান পার্টির গ্যারি জনসনের প্রতি সমর্থন রয়েছে শতকরা চার ভাগ ভোটারের। গ্রিন পার্টির জিল স্টেইন শতকরা এক ভাগের সমর্থন পাচ্ছেন।
সোমবার ব্লুমবার্গ পলিটিকস-সেলজার অ্যান্ড কো তাদের সর্বশেষ জনমত জরিপের ফল প্রকাশ করেছে। এই ফলাফলেও হিলারি ক্লিনটন তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর চেয়ে তিন পয়েন্ট এগিয়ে ছিলেন।
হিলারি ক্লিনটনের জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ৭২ ভাগ এমন কথা বলেছিলেন মার্কিন নির্বাচন বিশ্লেষক নেট সিলভার। নির্বাচন শুরুর একেবারে আগের মুহূর্তে এ সম্ভাবনার কথা জানান তিনি। ২০১২ সালের নির্বাচনে ৫০টি অঙ্গরাজ্যের সব কটির ফলাফল নিয়ে তিনি আগাম বিশ্লেষণ করেছিলেন। আর তার সেই বিশ্লেষণ মিলেও গিয়েছিল।
নেট সিলভার এর পরিসংখ্যানগত উপাত্ত বিশ্লেষণকারী ওয়েবসাইট ফাইভ থার্টি এইট বলেছিল, হিলারির জয়ের সম্ভাবনা ৭১ দশমিক ছয় শতাংশ। আর ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্ভাবনা ২৮ দশমিক চার শতাংশ।
অন্যদিকে ব্রিটিশ পত্রিকা টেলিগ্রাফের বিভিন্ন জরিপে হিলারির এগিয়ে যাওয়ার বার্তায় জানিয়েছিল। এছাড়া বিবিসির জরিপেও প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাম্পের চেয়ে চার পয়েন্টে এগিয়ে ছিলেন হিলারি।
সজিব ঘোষ