
চট্টগ্রাম: ঈদ উৎসবকে ঘিরে বিনোদন কেন্দ্র গুলোতে বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষ ও শিশু কিশোরদের ঢল নামতে শুরু করেছে। তাই দেশের বর্তমান পরিস্থিতির কথা চিন্তু করে বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে দশনার্থীদেও জন্য বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করছে কর্তৃপক্ষ।
ঈদের দিন বিকাল থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে ফয়েজ লেক, সি-ওয়াল্ড, শিশু পার্কসহ নগরীর বিনোদন কেন্দ্র গুলোতে দর্শনার্থীদের সমাগম শুরু হয়েছে। ভ্রমনপিপাসুদের জন্য পার্ক গুলোকে নতুন সাজে সাজানো হয়েছে। সেই সাথে নেয়া হয়েছে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
বিনোদন কেন্দ্র ফয়েজ লেক’র ডেপুটি মার্কেটিং ম্যানেজার বিশ্বজিৎ ঘোষ জানান, আগত দর্শনার্থীদের ঈদ আনন্দ শান্তিপূর্ণ করতে এবং পার্কের সৌন্দর্য রক্ষার্থে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি কর্তৃপক্ষ থেকে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে। কেউ যাতে কোনো দুর্ঘটনা সে দিকে নজর রাখা হয়েছে। সেজন্যে দর্শনার্থীসহ অন্যান্য অতিথিদেরকেও তল্লাশি করে ঢুকানো হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি জানান, ঈদের দিন দুপুর থেকে পরিবার পরিজন, বন্ধু-বান্ধব নিয়ে সবাই ফয়েজ লেক এ আসতে শুরু করেছে। দর্শনার্থীদের জন্য বিভিন্ন মূল্যের টিকিট রাখা হয়েছে। প্রতি ৩০০ টাকার টিকেট এর সাথে পাচ্ছে কোল্ড ডিংক্স এবং ৬০০ টাকার টিকেট এ সী-ওয়ার্ল্ডে অভ্যন্তরে বিভিন্ন যানে এবং বোটে চড়ার সুযোগ পাচ্ছে।
আবহাওয়া ভালো থাকলে ঈদের দিনে পাঁচ থেকে ছয় হাজার দর্শনার্থী আসতো বলে জানান তিনি।
এদিকে, ঈদের দিন বিকাল থেকে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত ও সৈকত শহর কক্সবজারের পর্যটকের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
কক্সবাজার জেলার পুলিশ সুপার শ্যামল কান্তি নাথ জানিয়েছে, দেশের বিভিন্ন স্থানে সন্ত্রাসী হামলা সত্ত্বেও কক্সবাজারে পর্যটকের স্বাভাবিক উপস্থিতি আছে, হোটেল মোটেলগুলোতে প্রচূর ভিড় আছে, টুরিস্ট পুলিশসহ অনান্য আইন- শৃংখলা বাহিনীর সমন্বয়ে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে।
কক্সবাজারের ঘুরতে আসা একটি বেসকারি টেলিভিশনের ক্যামরাপার্সন বিপ্লব মজুমদার বলেছেন, ‘দেশে যাই ঘটুক জীকন তো আর থেমে থাকবে না, সারা বছর পরিকল্পনা ছিলো ঈদের ছুটিতে বেড়াতে আসবো, তাই সবাইকে নিয়ে চলে আসলাম।
অনুরুপভাবে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে ফেনীতে বেড়াতে আসা রিপন ও তার বন্ধুরা জানিয়েছেন, ঈদ মানেইতো আনন্দ, কোনো কিছুই এই আনন্দ উপভোগ থেকে মানুষকে বিরত রাখতে পারেনা।
পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) জাকির হোসেন ভুইয়া জানিয়েছেন, টহল পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা পুলিশরা সাদা পোশাকে দায়িত্ব পালন করছে, সিসি ক্যামরার আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে পুরো সমুদ্র সৈকতকে।
নিউজনেক্সটবিডি ডটকম/এসএন/জাই