
ঢাকা: একাত্তরে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং খান সেনাদের হয়ে কাজ করা অভিযোগে গ্রেফতার ক্যাপ্টেন অব: মো. শহিদুল্লাহর জামিন না মঞ্জুর করেছেন ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে তার অসুস্থতার কথা বিবেচনা করে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়ার ব্যবস্থা করতে বলেছেন আদালত।
আসামি পক্ষের করা আবেদনের ওপর শুনানি করে বৃহস্পতিবার ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালে অপর সদস্যরা হলেন, বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম ও মোহাম্মদ সোহরাওয়ার্দী। আদালতের শুনানিতে আজ আসামি পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মাসুদ রানা, অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজ ও আবুল কালাম।
পরে মাসুদ রানা জানান, আসামি শহিদুল্লাহ একজন প্যারালাইজড রোগী। তিনি নিজের হাতে কিছু খেতে পারেন না। বিছানায় শুয়ে থাকেন, এছাড়া গত আট বছর ধরে অন্যের সাহায্য নিয়ে তাকে চলা-ফেরা করতে হচ্ছে।
এসব কারণে আসামির জামিন আবেদন করার পর ট্রাইব্যুনাল তার পক্ষে শুনানি করে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে কারাকর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রসিকিউটর আবুল কালাম জানান, শহিদুল্লাহ একাত্তরে পাকিস্তান আর্মির একজন সদস্য হয়ে মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন। তার বিরুদ্ধে হত্যা, আটক, নির্যাতনসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার শহিদুল্লাহর পক্ষে জামিন আবেদন করা হলে প্রসিকিউশন থেকে বিরোধীতা করা হয়। যে কারণে জামিন না মঞ্জুর করে চিকিৎসা দেয়ার জন্য আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
গত ১ আগস্ট পাকিস্তান আর্মির সদস্য শহিদুল্লাহর বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে প্রাথমিক অভিযোগ দাখিল করেন প্রসিকিউশন। সেদিনই তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। পরের দিন ২ আগস্ট কুমিল্লার দাউদকান্দির নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন।
নিউজনেক্সটবিডি ডটকম/এফএইচ/জাই