
ঢাকা: পাকিস্তানের কাছ থেকে ‘ন্যায্য হিস্যা’ আদায়ে বাংলাদেশের বর্তমান সরকার বদ্ধপরিকর। দুই দেশের মধ্যে অনুষ্ঠিত আনুষ্ঠানিক বৈঠকগুলোতে বাংলাদেশের দেনা বা পাওনার বিষয়টি জোরালোভাবে উত্থাপন করা হয়েছে। রোববার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে এমনটাই জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
মন্ত্রী বলেন, ‘পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের দেনা বা পাওনা অর্থাৎ উত্তরসুরী রাষ্ট্র হিসেবে অবিভাজিত সম্পদ থেকে বাংলাদেশের ন্যায্য হিস্যা আদায়, বাংলাদেশ-পাকিস্তানের দীর্ঘ অমীমাংসিত গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলোর একটি। পাকিস্তানের কাছ থেকে ন্যায্য হিস্যা আদায়ের লক্ষ্যে বর্তমান সরকারের প্রয়াস অব্যাহত রয়েছে। এ লক্ষ্যে বর্তমান সরকার সম্ভাব্য সব কিছুই করবে।’
মাহমুদ আলী বলেন, ‘সরকার জাতীয় স্বার্থ বিবেচনায় নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক মূল্যায়ন করে আসছে। পাকিস্তানের ক্ষেত্রেও তা প্রযোজ্য। বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও অন্যান্য সকল সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের স্বার্থ সুরক্ষায় পাকিস্তানের সাথে কূটনৈতিক সংযোগ কী মাত্রায় থাকবে তা নির্ধারণে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সকল দিক বিবেচনায় রেখেছে এবং বিষয়টি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। বাংলাদেশ সব সময়ই সুপ্রতিবেশীসুলভ আচরণে বিশ্বাসী এবং প্রতিবেশী রাষ্ট্রের কাছ থেকেও একই আচরণ আশা করে।’
মন্ত্রী আরো বলেন, ‘১৯৭৪ সালে স্বাক্ষরিত ত্রিপক্ষীয় (বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান) চুক্তির ১৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী পাকিস্তান সরকার ১৯৫ জন পাকিস্তানী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করবে এই মর্মে বাংলাদেশ সরকার ১৯৫ জন পাকিস্তানী যুদ্ধাপরাধীকে নিকট হস্তান্তর করে। কিন্তু দুঃখের বিষয় পাকিস্তান সরকার আজও তাদের বিচার সম্পন্ন করেনি।’
নিউজনেক্সটবিডি ডটকম/এসকে/ওয়াইএ