
ঢাকা: রাজধানীর ধানমন্ডি থেকে যে ৪৫ কোটি টাকা মূল্যের সাপের বিষ উদ্ধার করা হয়েছে তা ফ্রান্স থেকে আনা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার আব্দুল বাতেন।
তিনি বলেন, “ফ্রান্স থেকে আন্তর্জাতিক চোরাকারবারি চক্রের মাধ্যমে ভারত হয়ে বিষ বাংলাদেশে আসে। ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে এগুলো আমদানি করা হয়। ১২ পাউন্ড ওজনের বিষ ৬টি কাচের বোতলে ছিল। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আমরা জানতে পেরেছি এগুলো কোবরা সাপের বিষ “
বুধবার দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব তথ্য জানান। এর আগে মঙ্গলবার রাত ৮ টায় গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ধানমন্ডি থেকে ১২ পাউন্ড সাপের বিষসহ মোঃ সোলায়মান আজাদ (৬১) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ।
আব্দুল বাতেন বলেন, “সাপের বিষগুলো বিদেশ থেকে ঢাকায় এনে পাচারের উদ্দেশ্যে প্রক্রিয়াজাত করা হয়। ইতিমধ্যে কয়েকজন দালাল ৫ থেকে ১০ কোটি টাকা দামও বলেছেন। বিক্রির জন্য দালাল খোঁজার চেষ্টাকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতেই সোলায়মানকে গ্রেফতার করা হয়।”
তিনি বলেন, “প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সোলায়মান জানিয়েছে সে এক সময় গার্মেন্টসের ব্যবসা করতো। এছাড়া পশুর হাড়ের গুঁড়ো দিয়ে পণ্য তৈরি করে বিভিন্ন দেশে বিক্রি করতো। ব্যবসায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে সে এই চোরাচালানের পথে নেমেছে।”
ডিবির যুগ্ম কমিশনার আরো বলেন, “গ্রেফতারকৃত সোলায়মান জানিয়েছে কৌটাগুলোতে বিষাক্ত সাপের বিষ আছে। কৌটার গায়েও সেটাই লেখা আছে। তারপরও আমরা পরীক্ষা করে দেখবো এগুলো আসলেই সাপের বিষ কিনা। প্রতিটি কৌটার গায়ে ডলার মূল্যে এর দাম লেখা আছে। এগুলো যদি বিষ নাও হয়, তবুও তার বিরুদ্ধে প্রতারণার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
তিনি বলেন, “সোলায়মান আজাদের বাড়ি কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানার ডিমাতলী গ্রামে। বর্তমানে তার বাসা ধানমন্ডিতে। তার বিরুদ্ধে ধানমন্ডি থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ইতোমধ্যে তার সর্দারের সন্ধান পাওয়া গেছে। তাকেও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।”
প্রতিবেদন: প্রীতম সাহা সুদীপ, প্রকাশ: প্রণব