
বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন, শান্তিচুক্তি অনুযায়ী পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলায় সেনাবাহিনী যেসব ক্যাম্প ছেড়ে এসেছে সেই জায়গাগুলোতে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) মোতায়েন করা হচ্ছে।
পুলিশ সদর দপ্তর জানায়, বৃহস্পতিবার রাঙ্গামাটি পুলিশ লাইনসে এপিবিএন উপ-মহাপরিদর্শকের (ডিআইজি, পার্বত্য জেলাসমূহ) কার্যালয় এবং ১৮ (রাঙ্গামাটি), ১৯ (বান্দরবান)ও ২০ (খাগড়াছড়ি) ব্যাটালিয়নের সদর দপ্তরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
১৯৯৭ সালের শান্তিচুক্তির আলোকে পার্বত্য তিন জেলা থেকে সেনাবাহিনীর ২৩৮ ক্যাম্প প্রত্যাহার হয়েছে উল্লেখ রয়েছে সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি, মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) মো. কামরুজ্জামানের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।
“আমরা পাহাড়ি-বাঙালি সবাই এক,” উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এই তিন জেলার প্রতি সর্বাত্মক মনোযোগ দিয়েছেন।”
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জেষ্ঠ্য তথ্য কর্মকর্তা মো. শরীফ মাহমুদ অপুর পাঠানো অপর এক সংবাদ বিজ্ঞপিতে জানানো হয়, পার্বত্য এলাকায় গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করা হবে উল্লেখ করেছেন মন্ত্রী।
পার্বত্য চট্টগ্রামে যারাই অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাইবে তাদের কঠোরভাবে দমন করা হবে উল্লেখ করে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, শান্তি বিনষ্টকারীদের খুঁজে বের করা হবে। সরকার এ এলাকার শান্তি বজায় রেখে উন্নতির জন্য কাজ করে যাচ্ছে।
একই অনুষ্ঠানে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, “সাম্প্রতিক সময়ে এ অঞ্চলে আমরা রক্তের হোলি খেলার অপচেষ্টা লক্ষ্য করছি।”
“এই এলাকায় অনেক রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড সংঘঠিত হয়েছে। কিন্তু মামলার সাক্ষী দিতে কেউ এগিয়ে আসেননি,” জানিয়ে আইজিপি বলেন, “প্রয়োজন হলে প্রত্যেক সাক্ষীর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে।”
পার্বত্যাঞ্চল দুর্গম এলাকা হওয়ার কারণে সন্ত্রাসী কার্যকলাপের পাশাপাশি মাদকের রুট হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে উল্লেখ করে পুলিশ সদর জানিয়েছে, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশের পক্ষে এককভাবে সেখানকার আইন শৃঙ্খলা-নিয়ন্ত্রণ করা দুরহ।
“সরকারের সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে তিন পার্বত্য জেলায় এপিবিএন গঠনের ফলে আইন-শৃঙ্খলা, সন্ত্রাসী কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ ও জনসাধারণের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সহজ হবে,” যোগ করেছে তারা।