
ডেস্ক: পাঁচটি বাঙালি সংগঠনের ডাকে দুই দফায় ৪৮ ঘণ্টার হরতাল চলছে ৩ পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি ও বান্দরবানে।পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইনের সংশোধনীর প্রতিবাদ ও বান্দরবান থেকে গ্রেফতার বাঙালি নেতা আতিকুর রহমানের মুক্তির দাবিতে এ হরতালের ডাক দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬টা (২৪ ঘণ্টা) এবং রবিবার সকাল ৬টা থেকে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত (২৪ ঘণ্টা) মোট ৪৮ ঘণ্টার এই হরতালের ডাক দেয় তারা।
হরতালের সমর্থনে সকাল থেকেই রাঙামাটি শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে পিকেটিং করছে সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা। শহরের রিজার্ভবাজার, বনরূপা, তবলছড়ি,কলেজগেইট এবং ভেদভেদী এলাকায় পিকেটিং করতে দেখা গেছে বাঙালি সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীদের।
এদিকে হরতালের কারণে রাঙামাটি শহরের অভ্যন্তরীণ ও দুরপাল্লার সব ধরণের যান চলাচল বন্ধ আছে। শহর থেকে উপজেলা বা প্রতিবেশী জেলাগুলোর উদ্দেশ্যে কোনও বাস বা লঞ্চ ছেড়ে যায়নি। রাঙামাটি জেলা শহর ছাড়াও লংগদু, বাঘাইছড়ি, কাপ্তাই, কাউখালী উপজেলা থেকেও শান্তিপূর্ণ হরতাল পালিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
হরতাল আহ্বানকারী সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, সম্প্রতি সংশোধিত হওয়ার পর জাতীয় সংসদে পাশ হওয়া পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইনের কারণে পার্বত্য এলাকায় বসবাসকারী বাঙালিরা নিজ ভূমি থেকে উচ্ছেদ হবে এবং কমিশনে বাঙালি প্রতিনিধিত্ব না থাকায় ন্যায়বিচার থেকেও বঞ্চিত হবে।
এছাড়া গঠনগুলো সম্প্রতি বান্দরবান থেকে গ্রেফতার হওয়া বাঙালি নেতা আতিকুর রহমানের নি:শর্ত মুক্তির দাবি জানিয়েছে।
একই দাবিতে সকাল থেকে খাগড়াছড়িতে হরতাল পালিত হচ্ছে। শহরের পার্বত্য ভুমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের প্রধান কার্যালয়ের সামনেসহ বিভিন্ন স্থানে হরতালের সমর্থনকারীরা টায়ার জ্বালিয়ে পিকেটিংয়ের সূচনা করেন। খাগড়াছড়ি থেকে চট্রগ্রাম ও ঢাকার উদ্দেশ্যে কোনও যানবাহন ছেড়ে যায়নি। সব ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে।
পার্বত্য বাঙালী ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আসাদ উল্ল্যাহ এবং খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সভাপতি মো. মাইনুদ্দিন বলেন, ভূমি কমিশন আইন বাতিল না হওয়া পর্যন্ত তাদের কর্মসূচি চলবে। তিনি শান্তিপূর্ণ হরতাল পালনের জন্য নেতাকর্মীদের আহ্বান জানান। তিনি সরকারি যানবাহন, নিরাপত্তা বাহিনীর গাড়ি, সাংবাদিকদের গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স ও খাবারের গাড়ি হরতালের আওতামুক্ত থাকার ঘোষণা দেন।
হরতাল আহ্বানকারী সংগঠনগুলো হলো, পার্বত্য নাগরিক পরিষদ,পার্বত্য গণ পরিষদ,পার্বত্য চট্টগ্রাম সম-অধিকার আন্দোলন,পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদ এবং পার্বত্য বাঙালি ছাত্র ঐক্য পরিষদ।
গ্রন্থনা সম্পাদনা: পিএ