
পিরোজপুর: করিমুন্নেছা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক জাহিদুল ইসলামকে বেধড়ক মারধর করে দুর্বৃত্তরা। বুধবার সকালে বিদ্যালয় প্রঙ্গনে এই ঘটনা ঘটে। তবে এই বিষয়ে এখন পর্যন্ত মামলা হয়নি।
জানা গেছে, ওই বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত পরীক্ষার প্রস্তুতি চলছিল। এসময় কিছু দুর্বৃত্ত বিদ্যালয়ের ভিতরে ঢুকে বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক জাহিদুল ইসলামকে বেধড়ক মারধর করে টেনে হিচড়ে বিদ্যালয়ের বাহিরে নিয়ে যায় এবং সেখানেও তাকে মারধর করে।
সন্ত্রাসীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায় এবং শিক্ষক জাহিদুল ইসলামকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। পরে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য পিরোজপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে এবং তার নিরাপত্তার জন্য পুলিশ মোতায়নের ব্যবস্থা করেন।
বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমটির সভাপতি পিরোজপুর প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করে এসব কথা বলেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, পিরোজপুর প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি খালিদ আবু, সাধারণ সম্পাদক শামীম আহ্সান, এস এম পারভেজ, এ কে আজাদ, অভিজিৎ মন্ডল, হাসান মামুন সহ অন্যান্য সাংবাদিকরা। এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সহ অন্যান্য বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা।
চিকিৎসারত শিক্ষক জাহিদুল ইসলাম বলেন, গত কয়েকদিন ধরেই দুর্বৃত্তরা মুঠোফোনে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে আসছিল। আমি সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে একজন প্রার্থী থাকায় বুধবার সকালে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেই। এ সময় কিছু সন্ত্রাসীরা বিদ্যালয়ের ভিতর প্রবেশ করেই মারধর শুরু করে। পরে বিদ্যালয়ের বাহিরে বের করে নিয়ে যায়।
পরে ঘটনাস্থলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যাওয়ার সময় আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় এবং আমার সাথে থাকা নগদ ৪০ হাজার টাকা, হাত ঘড়ি ও মুঠোফোন হাতিয়ে নেয়।
আমি সন্ত্রাসীদের দুজনকে এসময় চিনে ফেলি। তারা হলো কুমারখালী এলাকার মনির শিকদার ও সুমন সাহা।
এই বিষয়ে পিরোজপুর থানার ওসি মাসুমুর রহমান বিশ্বাস বলেন, মারামারির ঘটনা আমি শুনেছি। তবে এই বিষয়ে এখন পর্যন্ত কেউ মামলা দেয়নি। মামলা দিলে আমার সঙ্গে সঙ্গে আইনগত ব্যবস্থা নেব।
প্রতিনিধি, সম্পাদনা- দেলোয়ার মহিন, জাহিদুল ইসলাম