
ডেস্ক: রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন রোববার অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিপুল ভোট পেয়ে চতুর্থ দফায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় পশ্চিমা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতারা সতর্ক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।
সোমবার বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশের মধ্যে চীন প্রথম প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে। পুতিন পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার ফলে উভয় দেশের মধ্যে বন্ধন আরো উচ্চস্তরে উন্নীত হবে বলে আশা প্রকাশ করেছে চীনা কর্তৃপক্ষ।তবে জার্মানি নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
পুতিন পুনর্নির্বাচিত হওয়ার একদিন আগে চীনা প্রেসিডেন্ট হিসেবে পুনরায় অনুমোদন পান শি চিন পিং। চীনা প্রেসিডেন্ট জানান, বেইজিং মস্কোর সঙ্গে একযোগে কাজ করে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করছে।
চীনা বার্তা সংস্থা শিনহুয়া জানায়, শি পুতিনের কাছে পাঠানো বার্তায় জানান, বর্তমানে চীন-রাশিয়ার সার্বিক কৌশলগত অংশীদারিত্ব ইতিহাসের সর্বোচ্চ পর্যায়ে আছে। এটি নতুন ধারার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক গড়ে তুলার ক্ষেত্রে একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রনের কার্যালয় থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে পুতিনের সাফল্য কামনা করা হয়। পাশাপাশি সিরিয়ার যুদ্ধ এবং ব্রিটেনে সাবেক গুপ্তচরকে বিষ প্রয়োগে হত্যায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।
সোমবার ম্যাক্রন পুতিনের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন। তিনি পুতিনের অধীনে রাশিয়ার রাজনীতি, গণতন্ত্র এবং অর্থনীতির জন্য সাফল্য কামনা করেন। যুক্তরাজ্যে বাস করা সাবেক রুশ গুপ্তচরকে বিষপ্রয়োগে হত্যাচেষ্টাকে তিনি অগ্রহণযোগ্য বলে উল্লেখ করে এই ব্যাপারে আলোকপাত করার জন্য পুতিনের প্রতি আহ্বান জানান।
এদিকে জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল এক বার্তায় পুতিনকে অভিনন্দন জানান। তার মুখপাত্র জানান, ম্যার্কেলের বার্তাটি রুশ-জার্মান সম্পর্কে চ্যালেঞ্জের সৃষ্টি করবে।
এতে বলা হয়, রাশিয়ার রাজনীতি এবং সংঘাতপূর্ণ অঞ্চল ইউক্রেন ও সিরিয়া নিয়েও জার্মানির সঙ্গে দেশটির মতবিরোধ আছে। তা সত্ত্বেও রুশ নেতার সঙ্গে অব্যাহত যোগাযোগ রাখা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেইকো মাস ক্রিমিয়ায় নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন। আন্তর্জাতিক আইন লংঘন করে ২০১৪ সালে ইউক্রেনের অংশ ক্রিমিয়াকে রাশিয়ার অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ফলে ক্রিমিয়ায় ভোট গ্রহণের বিষয়টিকে অগ্রহণযোগ্য বলে উল্লেখ করেন তিনি।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে পুতিনকে অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি উত্তর কোরিয়ার পরমাণু নিরস্ত্রীকরণে রাশিয়ার সঙ্গে একযোগে কাজ করার আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করেন।
এদিকে ইরানি প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি পুতিনের চূড়ান্ত বিজয়ে অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, আমি নিশ্চিত আপনার নতুন মেয়াদে আমাদের দুই দেশের সম্পর্ক আরো জোরদার হবে।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইরানের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্কের ব্যাপক উন্নতি ঘটেছে। উভয় দেশই সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে সামরিক এবং আর্থিক সহযোগিতা দিয়ে আসছে। সূত্র: এনডিটিভি
গ্রন্থনা: ফারহানা করিম