
ময়ূখ ইসলাম, ঢাকা: সঙ্গীতে হাল আমলের প্রযুক্তি ব্যবহারে নয়, পুরানো গান বিকৃত করায় আপত্তি আছে দেশের জেষ্ঠ্য সঙ্গীত শিল্পীদের। কোনো গানের মৌলিকতার ওপর আঘাত হানার ঘোর বিরোধী তারা। মঙ্গলবার বিশ্ব সঙ্গীত দিবসে নিউজনেক্সটবিডি ডটকম’র সাথে আলাপকালে এমনটিই বলেছেন একাধিক শিল্পী।
বাউল ও জারি-সারি গানের শিল্পী আব্দুল কুদ্দুস বয়াতীর মতে, ‘সকল সঙ্গীতের ক্ষেত্র আলাদা। সব ধরণের সংগীতেরই নিজস্ব চরিত্র আছে।’ সঙ্গীতে হাল-আমলের প্রযুক্তির ব্যবহার সম্পর্কে কুদ্দুস নিউজনেক্সটবিডি ডটকম’কে বলেন, ‘প্রযুক্তির ব্যবহারে আজ অনেকেই স্বল্প পরিসরে অনেক রকম কাজ করতে পারছেন। তরুণরা সংগীতে আসছেন। প্রযুক্তি ব্যবহার করেও তারা নতুন নতুন সুর বানাচ্ছেন। তাদের ধাঁচই আলাদা।’
পুরানো বাংলা গান নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার ‘রিকম্পোজ’ বা ‘রিমিক্স’ করার ব্যাপারে বয়াতীর অভিমত- ‘সংগীতকে বিকৃত করা উচিৎ নয়। যে সংগীত সৃষ্টি করতে চায়, সে করুক। কিন্তু তা অবশ্যই অন্য সংগীত নষ্ট করে নয়। কোনো সঙ্গীতের মৌলিকতা যেন নষ্ট না হয়। দেশজ বাউল ও জারি-সারি গানগুলো অবিকৃত রাখা জরুরি।
কুদ্দুস বয়াতী বলেন, শুধু পুরোনো গানের গুনগান না করে নতুনদেরও স্বাগত জানানো দরকার। নিজের সাম্প্রতিক ‘হিপহপ’ গান-‘এসো মামা হে’র উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি এ ধরণের গান আগে করিনি। লালন, জারি-সারি, বাউল নিয়েই ছিলাম, আছি। তবে এবার একটু দেখিয়ে দিয়েছি আমি এসবও পারি। তার মানে এই নয় যে আমি আমার মৌলিকতা থেকে সরে এসেছি।’
সংগীত শিল্পী ফরিদা পারভিন বলেন, ‘সংগীত হচ্ছে সাধনার ব্যাপার। এটি আত্মশুদ্ধির ব্যাপার। কিন্তু এখন সংগীতচর্চায় অনেক পরিবর্তন এসেছে। সস্তা চর্চা হচ্ছে। ফলে সংগীতের মাঝে কোনো প্রেম-ভালোবাসা নেই।’
পুরানো গান হাল আমলের সঙ্গীত প্রযুক্তির ব্যবহার প্রসঙ্গে তার মত, ‘প্রযুক্তির ব্যবহার মানেই উশৃঙ্খলতা হলে সমস্যা। সংগীত ও সূর ঐশ্বরিক। একে যা খুশি তা করে ফেলার কোনো দরকার নেই। প্রতিটি বাণী ও সুরকে তার নিজের গতিতে চলতে দিলেই ভালো।’
নিউজনেক্সটবিডি ডটকম/এমআই/এসকে/এসআই