
লুইজিয়ানা: যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানা অঙ্গরাজ্যের রাজধানী ব্যাটন রুজে তিন পুলিশ হত্যাকারী গেভিন লং এক ভিডিও বার্তায় আফ্রিকান আমেরিকানদের প্রতি পুলিশের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
২৯ বছর বয়সি সাবেক মেরিন সদস্য ভিডিওতে আফ্রিকান আমেরিকানদের প্রতি মার্কিন পুলিশ বাহিনীর আচরণ নিয়ে অভিযোগ করেন। সেইসঙ্গে জানান, তিনি কোনো সংগঠনের সদস্য নন তবে ন্যায় বিচারের সঙ্গে সম্পৃক্ত।
রোববার সকালে ব্যাটন রুজে গেভিন লং এর গুলিতে তিন পুলিশ নিহত এবং তিনজন আহত হন। পুলিশের গুলিতে হামলাকারীও নিহত হন।
২ সপ্তাহ আগে এলটন স্টারলিং নামে একজন নিরস্ত্র মার্কিন কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিককে পুলিশ হত্যা করার পর দেশজুড়ে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে মানুষ। এর জের ধরে ডালাসে সাবেক এক সেনা সদস্য পাঁচ জন পুলিশকে হত্যা করে।
সোমবার লুইজিয়ানার পুলিশ জানায়, হত্যাকারীর আঙ্গুলের ছাপ থেকে তার পরিচয় সনাক্ত করা হয়েছে। সে নিশ্চিতভাবে পুলিশ সদস্যদের খুঁজে বেড়াচ্ছিল। তার গতিবিধি, উদ্দেশ্য, তার মনোযোগ সব পুলিশ কর্মকর্তাদের উপর ছিল।
গেভিন লং মিসৌরির ক্যানসাস থেকে এসেছেন। তিনি ২০০৫ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত মেরিন সদস্য ছিলেন। তিনি সার্জেন্ট পদ লাভ করেছিলেন। ২০০৮ সালের জুন থেকে ২০০৯ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত তিনি ইরাকে কর্মরত ছিলেন।
অনলাইনে কসমো সেটেপেনরা ছদ্মনামে পোস্ট করা এক ভিডিওতে কালো মানুষদের বিরুদ্ধে পুলিশের অবিচারের প্রতি গালিবর্ষণ করেন তিনি। সেইসঙ্গে আফ্রিকান আমেরিকানদের, পুলিশের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান। সহিংসতা এবং আর্থিক চাপ সৃষ্টি করা ছাড়া এই অবস্থার কোন পরিবর্তন হবে না বলে উল্লেখ করেন তিনি।
ইউটিউবে পোস্ট করা ভিডিওতে লং জানান, তার যেকোন কিছু ঘটতে পারে। তবে তিনি কোন সংগঠনের সদস্য নন। ১০ জুলাই ডালাসে ভিডিওটি পোস্ট করা হয়।
অবশ্য নিহত পুলিশ অফিসারদের মধ্যে মন্ট্রিল জ্যাকসন নামে ৩২ বছর বয়সি একজন কৃষ্ণাঙ্গ আমেরিকান ছিলেন। মৃত্যুর একদিন আগে তিনি ফেসবুকে এক বার্তায় জানান, ব্যাটন রুজে কালো পুলিশ অফিসার হিসেবে কাজ করা কতটা কঠিন।
তিনি লিখেন, আমি ঈশ্বরের নামে শপথ করে বলছি, আমি এই শহরকে ভালোবাসি কিন্তু যদি এই শহর আমাকে ভালোবাসে তাহলে আমি বিস্মিত হবো। আমি যখন পুলিশের পোশাক পরে থাকি তখন আমার প্রতি ঘৃণার দৃষ্টি অনুভব করি, আর যখন পুলিশের পোশাক থাকে না তখন আমাকে হুমকি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
এদিকে মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল লোরেট্টা লিঞ্চ জানান, বিভক্ত জনগণের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করা, ফাটল দূর করা এবং বিশ্বাস ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে ফেডারেল আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো দৃঢ প্রতিজ্ঞ। এছাড়া প্রত্যেক মার্কিন নাগরিক যেন নিজেদের সম্মানিত, সমর্থিত এবং নিরাপদ মনে করে সেই লক্ষ্যে তারা কাজ করবে। সূত্র: বিবিসি
নিউজনেক্সটবিডি ডটকম/এফকে/জাই