
সালেহ নোমান, চট্টগ্রাম
‘আইকন’ বাবুল আক্তারকে নিয়ে গর্ব করতো বাংলাদেশ পুলিশ। ২০১২ সালের জানুয়ারিতে রাজারবাগ পুলিশ লাইনের প্যারেড গ্রাউন্ডে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুরস্কার তুলে দেওয়ার আগ মুহূর্তে পুলিশের আইজি হাসান মাহমুদ খন্দকার বাবুল আক্তারকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন এই বলে, ‘বাবুল আমাদের সবচেয়ে সাহসী অফিসার।’ শুনে প্রধানমন্ত্রীর বাহবা পেয়ে বাবুল আক্তার দ্বিতীয় দফা স্যালুট দিলেন । প্রধানমন্ত্রী বাবুলের বুকে পরিয়ে দিলেন ‘বিপিএম’ মেডেল। এই ঘটনার চার বছরের মাথায় দুর্বৃত্তদের হাত প্রাণ হারালো বাবুলের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু। আর বাবুল আক্তার হারালো পুলিশ বিভাগের চাকুরী্।
৫জুন চট্টগ্রামের জিইসি মোড়ের কাছে আট বছর বয়সী ছেলের সামনে নির্মমভাবে খুন হন মিতু। বাবুল আক্তার স্বয়ং বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের পাঁচলাইশ থানায়, মামলার এজাহারে আসামী হিসেবে কারো নাম উল্লেখ করা হয়নি। মিতু হত্যার সাত মাস অতিক্রান্ত হয়েছে অথচ এখনো উন্মোচিত হয়নি পুরো রহস্যের। যদিও হত্যাকাণ্ডের দিন চট্টগ্রামে ওআর নিজাম রোড় আবাসিক এলাকার বাসায় বাবুল আক্তারের পরিবারকে সান্তনা দিতে এসে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, জঙ্গিরা পুলিশ বিভাগের মনোবল ভেঙ্গে দেওয়ার জন্য এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। মিতু হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে পুলিশ যে নয়জনের নাম ঘোষণা করছিলো তার মধ্যে তাদের কারো বিরুদ্ধে এখনো জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার কোন প্রমাণ পুলিশ দিতে পারেনি।
নয় জনের মধ্যে মোট সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরমধ্যে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে দুইজন। গ্রেফতার হওয়া সাতজন হচ্ছে, এহতেশামুল হক ভোলা, মোহাম্মদ ওয়াসিম. আনোয়ার হোসেন, নুরুল ইসলাম রাসেদ, নুর নবী, সাইদুল ইসলাম সাকু ও শাহাজান মিয়া। এরমধ্যে গোয়েন্দা পুলিশের সাথে রাউজানের ঠাণ্ডাছড়িতে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে রাসেল ও নবী। নিখোঁজ আছে মুসা ও কালু। দুই আসামী ওয়াসিম ও আনোয়ার হোসেন আদালতে ১৬৪ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে গত ২৬জুন। ওইদিন সিএমপির কর্মকর্তারা সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেছেন এই দুইজন তাদের জবানবন্দিতে মিতু হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়ার কথা স্বীকার করেছে।
পুলিশের ভাষ্যমতে, এই দুইজন স্বীকারোক্তিতে বলেছে, মুসা শিকদারের পরিকল্পনায় ও নেতৃত্বে মিতুকে খুন করা হয়েছে। আসামী এহতেশামুল হক ভোলা হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র সরারাহ করেছে এবং মুসার ভাই সাইদুল ইসলাম সাকু মোটর সাইকেল সরবরাহ করেছে। মুসা কেন এই হত্যাকাণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে সেই ব্যপারে তারা কিছু জানেনা। তখন থেকে পুলিশ বলে আসছে মুসাকে পাওয়া গেলে পুরো রহস্য জানা যাবে। এরপর পেরিয়ে গেছে সাত মাস, খোজ নেই মুসার, জানা যায়নি কেন একজন সাহসী ও আলোচিত পুলিশ অফিসারের স্ত্রীকে বেঘোরে প্রাণ হারাতে হলো।
কিছু একটা হবে, আশংকায় ছিলেন বাবুল
জঙ্গি দমনে সাহসিকতার পরিচয় দেওয়া পুলিশ কর্মকর্তা মো. বাবুল আক্তার। পেয়েছেন একাধিক রাষ্ট্রীয় পদক। কক্সবাজার থেকে পদোন্নতি পেয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখায় অতিরিক্ত উপকমিশনার পদে যোগদানের পরপরই ২০১৩সালে জাতিসংঘ মিশনে চলে যান। ফিরে আসেন ২০১৫ এর শুরুতে। এর পরপরই চট্টগ্রামে একের পর এক জঙ্গিদের সন্ত্রাসী অভিযান চলে। নগরীর সদরঘাটে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের টাকা ছিনতাই এবং বায়েজীদে খুন হয় ন্যাংটা ফকির। অভিযান শুরু হয় বাবুলের। তিনি ২০১৫সালের অক্টোবরে নগরের কর্ণফুলীর খোয়াজ নগর থেকে শুরু করে ডিসেম্বর পর্যন্ত হাটহাজারীর আমানবাজারে টানা অভিযান চালিয়ে অস্ত্র-গুলিসহ বেশ কয়েকজন জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করেন। খোয়াজ নগরে অভিযান চালানোর সময় জঙ্গিরা তাঁকে লক্ষ্য করে গ্রেনেড ছুড়লেও তিনি বেঁচে যান। ওই অভিযানেই চট্টগ্রামে জঙ্গিদের অস্তিত্বের সন্ধান পাওয়া যায়। ফকির হত্যা এবং সদরঘাটে টাকা ছিনতায়ের ঘটনা জঙ্গিরাই ঘটিয়েছে বলে উদঘাটিত হয়। এরপর থেকে বাবুল আক্তার নিজের জীবন নিয়ে শঙ্কায় থাকলেও পিছু হটেননি অভিযান থেকে। সহকর্মী থেকে শুরু করে সাংবাদিকরা যে-ই তাঁর সঙ্গে জঙ্গি–সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে কথা বলতেন, তিনি পরিবার-পরিজন নিয়ে শঙ্কার কথা বলতেন। তার সেই শঙ্কাই সত্য হলো। খুন হন তার স্ত্রী। তবে জঙ্গিদের হাতে নয় অন্য অপরাধীদের হাতে। মিতু হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার মোহাম্মদ কামরুজ্জামান জানিয়েছেন, এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত যাদের নাম এসেছে তাদের কারো সঙ্গে জঙ্গি সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি।
মূলত; যেসব কারণে মিতু হত্যায় জঙ্গিদের সন্দেহ করা হয়েছিলো তার মধ্যো উল্লেখযোগ্য হচ্ছে পুলিশের অভিযানে আটক জঙ্গি জাবেদকে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে গেলে ২০১৫ সালের ৭ অক্টোবর অপর জঙ্গিদের ছোঁড়া গ্রেনেড বিস্ফোরনে নিহত হয় সে। গত বছর ২৬ডিসেম্বর রাতে চট্টগ্রামের ফতেয়াবাদে বাবুল আক্তারের নেতৃত্বে পুলিশ জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে তৈরী স্নাইপার রাইফেল ১৯০রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে, সেখানে পাওয়া যায় ১৩চি সামরিক পোষাক। এই কয়টি অপারেশনে বাবুলের সফলতা তাকে জঙ্গিদের টার্গেটে পরিনত করতে পারে বলে ধারণা করা হয়েছিলো। কিন্তু বাবুলের স্ত্রী মিতু খুনীদের পরিচয় প্রকাশ হওয়ার পর নতুন করে বিস্ময় দেখা দেয়। কারণ হত্যাকারী হিসেবে যাদের চিহ্নিত করা হয়েছে তাদের জঙ্গি সংশ্রিষ্টতা পাওয়া যায়নি। বরং প্রধান সন্দেহভাজন মুসা শিকদার ছিলো বাবুল আক্তারের নির্ভরযোগ্য সোর্স। যার সহযোগিতায় চট্টগ্রামে বেশ কয়েকটি চাঞ্চল্যকর মামলার রহস্য উদঘাটনসহ অনেক দুর্ধর্ষ অপরাধীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছিলো বাবুল আক্তার। হত্যাকাণ্ডের সিসিটিভি ফুটেজে মোটর সাইকেল আরোহি মুসাকে দেখে বাবুল আক্তারও নিশ্চিত হয়েছে খুনীদের সম্পর্কে।
এখনো অনেক প্রশ্নের উত্তর নেই
মিতু হত্যার পরপরই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ প্রশাসনের বিভিন্ন স্তর থেকে বলা হয়েছিলো এটা জঙ্গিদের কাজ। কিন্তু ঘটনার ২৪ঘন্টার মধ্যে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল নগরীর চকবাজার এলাকার বড় মিয়ার গ্যারেজ এলাকা থেকে উদ্ধারের পর নাটকীয় মোড় নিতে থাকে চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডের রহস্যের। ঘটনার দিন রাতেই মিতু হত্যা মামলার বাদিকে এই নিয়ে দেখা দেয় নাটকীয়তা। পাঁচলাইশ থানা পুলিশ বাদি হয়ে মামলা করা হয়েছে বলা হলেও শেষ পর্যন্ত ঘটনার পরদিন জানা যায় বাবুল আক্তার নিজে বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেছে। মিতু হত্যা মামলার বাদি হওয়া নিয়ে কেন এই দোদুল্যমানতা চলেছে তা এখনো জানা যায়নি। ঘটনার দুই একদিনের মধ্যে আটক করা হয় চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির একটি বিরোধপূর্ণ মাজারের খাদেম আবু নসর গুন্নু ও নগরীর ফয়েজ লেক এলাকা থেকে মোহাম্মদ শাহজামানকে। কিন্তু গুন্নুর বিষয়ে ওই মাজার কমিটির একটি পক্ষ এবং তার পরিবরের সদস্যরা প্রকাশ্যে কথা বলা শুরু করলে চুপসে যায় পুলিশ। এখন পুলিশ বলছে সন্দেহজনকভাবে গুন্নুকে মিতু হত্যা মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিলো। কিন্তু কিসের ভিত্তিতে তাকে সন্দেহ করা হয়েছিলো তা কখনো পুলিশ বলেনি। পুরো ঘটনা নিয়ে অনেকটা তালগোল পাকায় যখন ২৫জুন গভীর রাতে গোয়েন্দা পুলিশ বাবুল আক্তারকে রাজধানীর খিলগাও এর শ্বশুরের বাসা থেকে তুলে নিয়ে আসে। এরপর নানা গুজব এবং সন্দেহের ঢাল পালা মেলতে থাকে। এমনও গুজব ছড়িয়েছিলো যে মিতু খুনের জন্য স্বামী বাবুল আক্তারকে সন্দেহ করছে পুলিশ। ২৬জুন দুপুরের পর বাবুলকে বাসায় ফেরত দিয়ে যাওয়া হয়। মিতুর বাবা সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা তার কন্যা হত্যায় বাবুলের জড়িত থাকার গুজব উডিয়ে দেন। এরপর এই গুজব কিছুটা স্তিমিত হয়। ততক্ষনে রটে যায় বাবুল পুলিশ বাহিনীর চাকুরী থেকে ইস্তফা দিয়েছে। এই রটনা শেষ পর্যন্ত বাস্তবে পরিনত হয়। কিন্তু প্রশ্ন থেকে গেছে বাবুল আক্তার কেন চাকুরী থেকে ইস্তফা দিয়েছে? তার কাছ থেকে কি জোর পূর্বক ইস্তফা পত্রে সাক্ষর নেয়া হয়েছে? তখন বাবুল আক্তারের ইস্তফার কথা না জানিয়ে উল্টো পুলিশ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে বাবুল নির্ধারিত ছুটি শেষেও অফিসে যোগদান করেনি। সে কোন যোগাযোগ রাখছেনা ডিপার্টমেন্টের সাথে, মামলার বিষয়েও পুলিশকে কোন সহযোগিতা করছেনা।
মামলার বিষয়ে হত্যাকাণ্ডের প্রায় সাত মাস পর বাবুল আক্তারের সঙ্গে পুলিশের আনুষ্ঠানিক কথা হয়। আড়াই ঘন্টা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের এডিসি মোহাম্মদ কামরুজ্জামান কথা বলেন বাবুল আক্তারের সঙ্গে। কিন্তু কি কথা হয়েছে সেই ব্যাপারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তদন্তের স্বার্থে সেই সব বলা যাবেনা বলে উত্তর দেন তদন্ত কর্মকর্তা কামরুজ্জামান। এক সপ্তাহ পর মিতুর বাবা মোশারফ হোসেনের সাথে প্রায় তিনঘন্টা কথা বলেন এই তদন্ত কর্মকর্তা।
ওইদিন মোশারফ হোসেন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, এখনো মিতু হত্যার মোটিভ জানা যায়নি, দুই সন্দেহভাজন মুসা শিকদার ও কালুকে গ্রেফতার করা যায়নি, পুলিশকে বলেছি এইদুইজনসহ আরো যারা জড়িত তাদেরকে ধরার জন্য, যেই জড়িত থাকুক তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনা বের করুক, মিতু একজন মেয়ে মানুষ, চাকুরী করতোনা, কেন তাকে হত্যা করা হলো, আমি কিংবা বাবুল অথবা অন্য কেউ যেই জড়িত থাকুক যাতে খুজে বের করা হয়।
মোশারফ হোসেনের মত দেশবাসীও চায় এই হত্যার মোটিভ উদঘাটিত হোক। কারা এই হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলো কি উদ্দেশ্য ছিলো তাদের? মিতু হত্যা মামলা আর আট দশটি হত্যা মামলার মত নয়। মিতু বাবুল আক্তার নামের একজনের স্ত্রী, বাবুলকে কর্মরত থাকা অবস্থায় যাকে পুলিশ বাহিনির সবচেয় চৌকস কর্মকর্তা বলা হতো। তারমত জনপ্রিয় পুলিশ কর্মকর্তার ইদানিং বিরল। চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের হাটহাজারী সার্কেলে কর্মরত থাকা অবস্থায় তার বদলীর প্রতিবাদে সাধারন মানুষ মানববন্ধন করছিলো। বাবুল যেখানে কর্মরত থাকতো সেখানে অধীনস্তদের বদলীর আবেদনের হিড়িক পরতো। উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পারফরমেন্স থাকতো অনু্জ্জ্বল।
মুসা কোথায়?
মিতু হত্যা মামলায় প্রধান সন্দেহভাজন মুসা শিকদার কোথায়? চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার স্থায়ী বাসিন্দা মুসা ছিলো চট্টগ্রামে র্যাব পুলিশ ও অন্যান্য আইন শৃংখলা বাহিনীর সবচেয়ে কার্যকর সোর্স। আইন শৃংখলা বাহিনীর অনেক গুরুত্বপূর্ণ অপারেশানের সাক্ষী মুসা শিকদার। বাবুলের বিভিন্ন অভিযানেরও সূত্র মুসা শিকদার। সেই মুসা শিকদারের নেতৃত্বে খুন হলো বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু।মিতু হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুজ্জামানের দাবি, মুসাকে পাওয়া গেলে মিতু হত্যার আসল কারণ জানা যাবে। এই মামলায় ১৬৪ধারায় জবানবন্দি দেয়া দুইজন আসামী বলেছে মুসার নির্দেশেই খুনের ঘটনা ঘটেছে। এখন মুসাকে প্রয়োজন।
কিন্তু মুসার স্ত্রী পান্না শিকদার বলছে ভিন্ন কথা । তার দাবি মুসাকে মিতু হত্যার ১৫দিনের মাথায় ২২জুন সকাল সাড়ে সাতটার দিকে চট্টগ্রাম মহানগরীর বন্দর এলাকার একটি বাসা থেকে ধরে নিয়ে গেছে পুলিশ। পুলিশের কোন কোন কর্মকর্তা ওই অভিযানে ছিলো তাও বলেছে মুসার স্ত্রী।
পান্না শিকদার আরো দাবি করেছে, ২২জুনের আগে তার দুই দেবরকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। ২২জুন মুসাকে আটকে আগে বন্দর এলাকার ওই বাসা থেকে মুসার বড়ভাই সাইদুল ইসলাম সাকুকেও আটক করা হয়। পরে সাকুকে গ্রেফতার দেখিয়ে অপর দুইজনকে ছেড়ে দেয়া হয় বলে দাবি করেছে সে।
মুসার পরিবারের এসব দাবি অস্বীকার করেছে পুলিশ। তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেছেন, এসব কিছু ভিত্তিহীন, এই ব্যাপারে কথা বলারই প্রয়োজন নেই, বাবুল হত্যার মোটিভ উদঘাটনে কমপক্ষে ৫০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে, মুসার সন্ধানে অভিযান চালানো হয়েছে নগরীর বিভিন্ন এলাকাসহ দুর্গম পাহাড়ি এলাকায়।
তদন্ত কর্মকর্তা কামরুজ্জামান আরো বলেন, মুসা ভারতে পালিয়ে গেছে বলে খবর পাওয়া গেছে, এখন এই তথ্যের যাচাই বাচাই চলছে।
সম্পাদনা: মাহতাব শফি