
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকাঃ সিলেটে পুলিশ হেফজতে নির্যাতনে যুবক হত্যার ঘটনায় মামলা দায়েরের পর সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের বন্দরবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াসহ ৪ পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত এবং আরও ৩ পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
সাময়িক বরখাস্তকৃত অপর তিন পুলিশ সদস্য হলেন- বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির কনস্টেবল হারুনুর রশিদ, কনস্টেবল তৌহিদ ও কনস্টেবল টিটু। এছাড়া এএসআই আশেক এলাহী, এএসআই কুতুব আলী ও কনস্টেবল সজিব হোসেনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এসএমপির উপ-কমিশনার জ্যোতির্ময় সরকার। এ ঘটনায় সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করেছে বলেও তিনি জানান।
প্রসঙ্গত, রোববার ভোররাতে নগরীর কাস্টঘর এলাকায় ছিনতাই করতে গিয়ে গণপিটুনিতে রায়হান মারা যান বলে পুলিশ প্রথমে দাবি করে। কিন্তু শুরু থেকেই রায়হানকে পুলিশি নির্যাতনে হত্যার অভিযোগ তোলে পরিবার। এমনকি কাস্টঘর এলাকার সিসিটিভি ফুটেজেও কোনো গণধোলাইর দৃশ্য খুঁজে পায়নি পুলিশ। এ ঘটনায় রোববার রাত ২টার দিকে কোতোয়ালি মডেল থানায় রায়হানের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নি বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় আসামিদের নাম উল্লেখ না করলেও পুলিশকে অভিযুক্ত করা হয়।
এদিকে রায়হানকে হত্যার বিচার দাবিতে আখালিয়া এলাকায় সোমবার মানববন্ধন করেছেন স্থানীয়রা। ওই মানববন্ধনে স্ত্রী তান্নি উপস্থিত ছিলেন। এ সময় তিনি হাউমাউ করে কান্নায় ভেঙে পড়েন। এসএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার জ্যোর্তিময় সরকার বলেন, পুরো বিষয়টি তদন্তে অনেক কিছু সামনে রেখে পুলিশ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। প্রাথমিকভাবে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ৪ জনকে সাময়িক বরখাস্ত ও ৩ জনকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।