
ঢাকা: সড়ক ও জনপদ অধিদফতরের ইজারা মাশুল অস্বাভাবিক বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিল, গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাবনা প্রত্যাহার এবং জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সুপারিশগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে পেট্রলপাম্প ও সিএনজি ফিলিং স্টেশনে রোববার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য আহুত ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে।
পেট্রল পাম্প মালিক সমিতি ও সিএনজি স্টেশন মালিক সমিতি সূত্র জানায়, তিন দফা দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তারা ধর্মঘট আহ্বান করেছিল, সরকার দাবিগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেয়ায় ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাদের উদ্দেশ্য ধর্মঘট করে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি সৃষ্টি করা নয়।
এর আগে তিন দফা দাবি মেনে নেয়া না হলে ৩০ অক্টোবর থেকে লাগাতার ধর্মঘটের ডাক দেয়া হবে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন বাংলাদেশ সিএনজি ফিলিং স্টেশনস অ্যান্ড কনভার্শন ওয়ার্কশপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন। ২৬ অক্টোবর বুধবার রাজধানীর কাকরাইলে অ্যাসোসিয়েশনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচির কথা জানান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মাসুদ খান।
‘সড়ক ও জনপদ অধিদফতরের ইজারা মাশুল অস্বাভাবিক বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিল, গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাবনা প্রত্যাহার এবং জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সুপারিশগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে এ কর্মসূচি।’
মাসুদ খান বলেন, ‘তিন দফা দাবি মেনে নেয়া না হলে ৩০ অক্টোবর থেকে লাগাতারভাবে সারা দেশের ফিলিং স্টেশন বন্ধ রাখা হবে।’
এর আগে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার বাঘাবাড়ি নৌবন্দর এলাকায় পেট্রোলপাম্প ও ট্যাংলরি মালিক-শ্রমিকরা বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করে।
এসময় তারা বগুড়া-নগরবাড়ী মহাসড়ক এবং পদ্মা-মেঘনা-যমুনা অয়েল ডিপো অবরোধ করে রাখে। প্রায় আধঘন্টাব্যাপী এই অবরোধের কারণে অয়েল ডিপো থেকে দুই ঘন্টা তেল সরবরাহ বন্ধ ছিলো।
৩০ অক্টোবর সারাদেশে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের সমর্থনে গত বুধবার বেলা ১১টায় বাংলাদেশ পেট্রোলপাম্প ও ট্যাংলরি মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ বাঘাবাড়ী ঘাট শাখা কর্মসূচি পালন করে।
সড়ক অবরোধের কারণে বগুড়া-নগরবাড়ী মহাসড়কের উভয় পাশে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
‘আর নয় প্রতিশ্রুতি, দাবির বাস্তবায়ন চাই’ এই শ্লোগান সামনে রেখে বিক্ষোভ ও অবরোধ কর্মসূচিতে ২৯ অক্টোবরের মধ্যে ঐক্য পরিষদের দাবি মেনে নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
গ্রন্থনা ও সম্পাদনা: জাহিদ