
ঢাকা: বর্তমানে রাষ্ট্র, তথা বাংলাদেশ সরকারের মোট প্রচ্ছন্ন দায়ের প্রায় ৫২ শতাংশ বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এছাড়া কৃষিখাত ও বাংলাদেশ বিমানের অনুকূলে আছে যথাক্রমে ২০ ও ১৫ দশমিক দুই শতাংশ।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে উত্থাপিত ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের সঙ্গে সংযুক্ত বইয়ে এ তথ্য দেয়া হয়েছে।
‘মধ্যমেয়াদি সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি বিবৃতি ২০১৬-১৭ থেকে ২০১৭-১৮’ নামের ওই বইতে বলা হয়েছে, ‘দেশের ক্রমবর্ধমান বিনিয়োগ চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে সরকার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও কৃষি খাতের মতো প্রবৃদ্ধি-বান্ধব খাতগুলোয় বৈদেশিক ও অভ্যন্তরীণ উৎস হতে বাণিজ্যিক ঋণের বিপরীতে রাষ্ট্রীয় গ্যারান্টি প্রদান করে থাকে। এ প্রক্রিয়ায় সরকারের প্রচ্ছন্ন দায় তৈরী হয়। বর্তমান সরকার জ্বালানি, বিদুৎ, কৃষি, বেসামরিক বিমান ইত্যাদি খাতে ঋণের বিপরীতে গ্যারান্টি প্রদানে অগ্রাধিকার দিচ্ছে।’
বইটির ‘ঋণের ঝুঁকি’ শীর্ষক অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ঋণের ঝুঁকি বিবেচনায় বাংলাদেশের সার্বিক ঋণের স্থিতির গড় মেয়াদ এবং স্বল্প মেয়াদে পরিশোধযোগ্য ঋণের পরিমাণ প্রসন্ন অবস্থায় রয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রায় স্বল্পমেয়াদি ঋণের পরিমাণ অফিসিয়াল বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের তিন শতাংশেরও কম, যা সরকারের ঋণ পরিশোধের সক্ষমতাকে নির্দেশ করে।
তবে ‘২০১৮-১৯ অর্থবছরে সরকারের ঋণ বাবদ মোট ব্যয় সরকারি ব্যয়ের অনুপাতে ১১ দশমিক সাত শতাংশে বৃদ্ধি পাবে’ বলে ‘ঋণের ব্যয়’ শীর্ষক আরেক অনুচ্ছেদে উল্লেখ রয়েছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের সামষ্টিক অর্থনৈতিক অনুবিভাগ প্রণীত বইটিতে‘বাংলাদেশের মতো নিম্নমধ্যম আয়ের দেশগুলোর জন্য বৈদেশিক ঋণের স্থিতি মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৪০ শতাংশ পর্যন্ত সহনীয়’ -দাবি করে বলা হয়েছে, দেশের বৈদেশিক ঋণের স্থিতি জিডিপি’র প্রায় ১৩ দশমিক ছয় শতাংশ আর মোট ঋণের স্থিতি মাত্র ৩৩ শতাংশ, যা সমপর্যায়ের অনেক দেশের চেয়ে কম। এছাড়া বর্তমান সরকারের ঋণকৌশলে আধা-নমনীয় ঋণ ও প্রয়োজনে সভরেন (সার্বভৌম) বন্ড ইস্যুর পরিকল্পনাও রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত গতকাল বৃহস্পতিবার সংসদে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করেছেন।
নিউজনেক্সটবিডি ডটকম/এসকে/এমআই/জাই