
ঢাকা: জনগণের দোরগোড়ায় উন্নত চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দিতে দেশের সব বিভাগে একটি করে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ বুধবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট অডিটোরিয়ামে আয়োজিত বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস (বিসিপিএস) এর ১৩তম সমাবর্তনে তিনি এ জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার জনগণকে বিনা পয়সায় সেবা ও ওষুধ দিচ্ছে। বিশেষ করে গ্রাম, ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ে চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা হচ্ছে। চিকিৎসাখাতে আমাদের সরকারের নেয়া এসব উদ্যোগের সুফল ইতোমধ্যে জনগণ ভোগ করছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা ক্ষমতায় এসে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ঘোষণা দিয়েছিলাম। সেজন্য আমরা বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। প্রতিটি হাসপাতালে ওয়েবক্যাম লাগিয়ে দিয়েছি। এছাড়া মোবাইল ফোনের মাধ্যমেও চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা ক্ষমতায় এসে মোবাইলকে উন্মুক্ত করে দিয়েছিলাম। কারণ এর আগে বিএনপি সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিজের ব্যবসা টিকিয়ে রাখার জন্য ব্যবসা করতেন। আমরা এটা উন্মুক্ত করার পর জনগণ মোবাইলে চিকিৎসা সেবা নিতে পারে।’
তিনি বলেন, জনগণের দোরগোড়ায় চিকিৎসাসেবা পৌঁছে দিতে আমরা ক্ষমতায় আসার পর ১২ হাজার ৭২৮ জন সরকারি সার্জন ও ১০৮ জন ডেন্টাল সার্জন নিয়োগ দিয়েছি। আরও নিয়োগ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এছাড়া হাসপাতালগুলোতে উন্নত মানের সেবা দিতে নার্সদের সিঙ্গাপুরের মতো দেশে পাঠিয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে আনা হচ্ছে। যাতে তারা দেশের মানুষের সেবা করতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের সব জায়গায় রোগীর সংখ্যা অনুযায়ী হাসপাতালগুলোতে শয্যা সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। আর শিশুর সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে মাতৃত্বকালীন ছুটি বাড়িয়ে ছয় মাস করা হয়েছে। এছাড়া দেশকে পোলিওমুক্ত ও টিটেনাসমুক্ত করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়কে আরও উন্নত করতে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছ। সেবার মান বাড়াতে বিশেষায়িত হাসপাতাল যেমন চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, ক্যান্সার ইনস্টিটিউট, নিউরো সায়েন্স হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
গ্রন্থনা: ইয়াছিন রানা, সম্পাদনা: প্রণব