
বরিশাল: বানারীপাড়া উপজেলায় কেন্দ্রীয় হরিসভা মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুরের অভিযোগে গ্রেফতার বাবুল হাওলাদারকে নির্দোষ দাবী করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক এ্যাডভোকেট মাওলাদ হোসেন সানা।
মঙ্গলবার বানারীপাড়া থানা পুলিশ উদ্যোগে কমিউনিটি পুলিশ আয়োজিত “সকল ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে পুলিশ ও জনতার সম্প্রীতি” সভায় বক্তৃতা দেয়ার সময় তিনি বলেন, “আটক বাবুলের সঙ্গে সিসি ক্যামেরার ফুটেজের ওই ব্যক্তি বেমানান। তাছাড়া সে মানসিক ভারসাম্যহীন।”
এ সময় প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় অন্য কেউ জড়িত কিনা তা খতিয়ে দেখার আহবান জানান সানা। শুধু তাই নয় ঘটনার ফুটেজ আবারও পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে পুলিশকে অনুরোধ করেন।
সানা বলেন, “ফুটেজে যে ছেলেটিকে প্রতিমা ভাঙচুর করতে দেখা গেছে তার হাতে যেমন সমস্যা দেখা গেছে, তেমন সমস্যা বাবুলেরও আছে এটা সত্যি। তবে বাবুলের পরিবারের বেশিরভাগ সদস্যই একটু পাগলা টাইপের। তাদের কথা-বার্তাও অসংলগ্ন।”
ওই সভায় বরিশালের পুলিশ সুপার এসএম আকতারুজ্জামানও উপস্থিত ছিলেন। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদকের বক্তব্যের জবাবে জানান, বাবুল যে ওই ঘটনা ঘটিয়েছে তা প্রমাণ করার জন্য পুলিশের কাছে দুইজন প্রত্যক্ষদর্শী রয়েছেন।
এসপি আকতারুজ্জামান বলেন, “বৃহস্পতিবার সকালে খন্তা হাতে মন্দিরের দিকে যেতে বাবুলকে যারা দেখেছেন তাদের মধ্যে ২ জন প্রত্যক্ষদর্শীকে পুলিশের পক্ষ থেকে পুরস্কৃত করা হয়েছে।”
তিনি আরো বলেন, “বানারীপাড়ায় কেন্দ্রীয় হরিসভা মন্দিরে হামলার সময় সিসি ক্যামেরায় ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজের ছবি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা গেছে গ্রেফতারকৃত বাবুল হাওলাদারের ছবির মিল রয়েছে। ওই ভিডিও ফুটেজের ছবির সঙ্গে বাবুলের হাতে কাটা দাগ, কপালটা ব্রড, বুক, নাক ও পায়ের সঙ্গে হুবহু মিল রয়েছে। এসব মিল পেয়েই আমরা তাকে আটক করেছি।”
সভা শেষে আওয়ামী লীগ নেতা সানার কাছে প্রতিমা ভাঙচুরকারীর পক্ষ নেয়ার কারণ জানতে চান সাংবাদিকরা। তখন সানা বলেন, “বাবুল হাওলাদারের পক্ষ নেয়ার কিছু নেই। আমার কাছে যা মনে হয়েছে, তাই আমি বলেছি।”
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার পৌর শহরের বন্দর বাজারে কেন্দ্রীয় হরিসভা মন্দিরে দুর্গাসহ বেশ কয়েকটি প্রতিমা কুপিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ করে দুর্বৃত্তরা।
হরিসভা মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক বাবুল দাস মন্দিরের সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজের বরাত দিয়ে জানান, বৃহস্পতিবার ভোর ছয়টা ১৪ মিনিটে ৩৫/৪০ বছর বয়সী এক দুর্বৃত্ত মন্দিরের উত্তর পাশের গেটের তালা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে কয়েকটি প্রতিমা কুপিয়ে নষ্ট করে দ্রুত ওই গেট দিয়েই পালিয়ে যায়।
গ্রন্থনা: প্রীতম সাহা সুদীপ, সম্পাদনা: প্রণব