
কবিরুল ইসলাম, ভারত (শিলিগুঁড়ি থেকে): সাফ মহিলা ফুটবল চ্যাম্পিয়নশীপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথমার্ধেই ৪-০ গোলে এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ। দলের হয়ে অধিনায়ক সাবিনা খাতুন নিজেই চারটি গোল করেছেন। বড় কোনো অঘটন না ঘটলে বলাই যায়, লাল-সবুজদের সেমি ফাইনাল নিশ্চিত। দুই বছর আগে আফগানিস্তানকে ৬-১ গোলের ব্যবধানে পরাস্ত করেছিল বাংলাদেশ দল। সেটা ছিল সাফ মহিলা ফুটবলের তৃতীয় আসরে।
কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শুরু হওয়া এ ম্যাচে উপস্থিত ছিলেন শ’দুয়েক দর্শক। তারাও ছিলেন বাংলাদেশের পক্ষেই। বল মাঠে গড়ানোর ৬ মিনিটেই এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। কাউন্টার অ্যাটাকে গোল পায় লাল-সবুজ শিবির। সাবিনার থ্রু থেকে বল পেয়ে সিরাত জাহান স্বপ্না এক ডিফেন্ডারকে পাশ কাটিয়ে বক্সে প্রবেশ করেন বল নিয়ে। তার নেয়া শটটি আগুয়ান গোলরক্ষক দুরানি হাসান ঠিক মতো ধরতে পারেননি। ফঁসকে যাওয়া বলটি পেয়ে যান বক্সের ডান পাশে দাঁড়িয়ে থাকা অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। ফাঁকা পোষ্টে আলতো টোকায় জালে জড়ালে উল্লাসে মেতে উঠে বাংলাদেশ শিবির (১-০)।
১৩ মিনিটেই আবারো গোলের সুযোগ তৈরি করেছিল ছোটনের শিষ্যরা। কিন্তু সাবিনার নেয়া শটে তেমন গতি না থাকায় গোলরক্ষক দুরানি হাসান ডানদিকে ঝাঁপিয়ে বল গ্রিপে নিয়ে নেন।
পরের মিনিটেই গোলের দেখা পেয়ে যায় বাংলাদেশ। আবারো গোলের নায়ক সাবিনা। এবার তাকে বলের যোগান দিয়েছেন কৃষ্ণা রানী সরকার। মাঝ মাঠের অল্প সামনে থেকে কৃষ্ণার লবে বল পেয়ে বাঁ দিক থেকে দারুণ এক ক্ষিপ্র গতির শটে লক্ষ্য ভেদ করেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক সাবিনা (২-০)।
৩৯ মিনিটে নিজের হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন সাবিনা খাতুন। বাঁ দিক দিয়ে আক্রমণে যাওয়া কৃষ্ণা রানী সরকার জোড়ালো শট নিয়েছিলেন। কিন্তু গোলরক্ষক দুরানি হাসান ফিষ্ট করেছিলেন। ডান দিকে থাকা সাবিনা খাতুন বল পেয়ে যান এবং ঠান্ডা মাথায় নিজের হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন (৩-০)।
আবারো সুযোগ সন্ধানী সাবিনা গোল করে ৪-০ ব্যবধানে প্রথমার্ধে মাঠ ছাড়েন। এবারো গোলের পেছনের কারিগর কৃষ্ণা রানী সরকার। বক্সের ভেতরে জটলার মধ্যে এক ডিফেন্ডারের পায়ের ফাঁকা দিয়ে আলতো টোকায় বল বের করেন কৃষ্ণা। সামনেই দাঁড়িয়ে থাকা সাবিনা আবারো ডান পায়ের শটে বল জালে জড়ান (৪-০)।
উল্লেখ্য, আজ জিতলেই সেমি ফাইনালে পা রাখবে গোলাম রব্বানী ছোটনের শিষ্যরা। কারণ নিজেদের প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক ভারতের কাছে ৫-১ গোলের বড় ব্যবধানে হেরেছিল আফগানরা।
প্রকাশ: তুহিন