
নিজস্ব সংবাদদাতা, ঢাকা –
করোনা মহামারীর কারণে দেশে আটকে পড়া প্রবাসী বাংলাদেশী শ্রমিকদের স্বার্থ সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনার জন্য হোস্ট দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমেদ ঢাকায় কূটনীতিকদের সাথে এক বৈঠকে এ আহবান জানান। করোনা মহামারীর কারণে ছুটিতে আসা হাজার হাজার বাংলাদেশী শ্রমিক তাদের কর্মস্থলে যেতে না পারায় এ সমস্যার সমাধানের জন্য যে সব দেশ বাংলাদেশী শ্রমিক নিয়োগ করে সেই সব দেশের ঢাকায় অবস্থিত কূটনীতিকদের বিষয়টি জানানোর জন্য সরকারের পক্ষ থেকে এ ব্রিফিং এর আয়োজন করা হয়। সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), কাতার, ওমান, ইরাক ও মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রদূত এবং প্রতিনিধি ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোই সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশী শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে থাকে। এইসব শ্রমিকরা বৈদেশিক মুদ্রা পাঠিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতির ভীত মজবুত করেছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রী মোমেন বলেন, তারা শ্রমিকদের বিষয়টি সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনার জন্য এ সব দেশের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।
কোভিড ১৯ মহামারির মধ্যে প্রবাসী শ্রমিকদের সমস্যার সমাধানের উপায় তুলে ধরতে জনশক্তি ইস্যুতে সরকার বুধবার উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলো এবং মালয়েশিয়ার কূটনীতিকদের সরকার এই ব্রিফিং করেছে।
মন্ত্রীদ্বয় প্রবাসী শ্রমিকরা যে সব সমস্যার মোকাবেলা করছেন সেগুলো তুলে ধরেন। মহামারির কারণে তারা এখানে আটকে পড়েছেন। তাদের চাকুরি দাতা দেশগুলোতে ফিরিয়ে নেয়ার পাশাপাশি সমস্যা সমাধানের উপায় নিয়ে আলোচনা হয়।
“ আমাদের বৈঠক ভালো হয়েছে, অমরা বিষয়টি সহানুভূতির সঙ্গে দেখার জন্য অনুরোধ জানিয়েছি,” মোমেন বলেন।
প্রায় ৬ হাজার শ্রমিক ইতোমধ্যেই বিদেশে তাদের কর্মস্থলে ফিরেছেন এবং অন্যরাও ফিরতে সক্ষম হবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
সৌদি আরব ছাড়া অন্য দেশগুলোতে আমাদের শ্রমিকদের ফেরত পাঠানো নিয়ে কোন সমস্যা নেই। তিনি বলেন বাংলাদেশ ও সৌদি আরব সপ্তাহে ২০ টি ফ্লাইট পরিচালনার ব্যাপারে ঐক্যমত হয়েছে।
এর মধ্যে রাষ্ট্রীয় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এবং সৌদি এয়ারলাইন্স এখানে আটকে থাকা বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশী শ্রমিককে ফিরিয়ে নিতে আগামীকাল থেকে সপ্তাহে ১০টি ফ্লাইট পরিচালনা করবে।
সৌদি দূতাবাস বাংলাদেশী শ্রমিকদের জন্য ২৫ হাজার ভিসা নবায়নের ব্যাপারে সম্মত হয়েছে বলে তিনি জানান।
মোমেন সৌদিগামী বাংলাদেশী সকল শ্রমিককে ধৈর্য ধরণের আহবান জানিয়ে বলেন, প্রত্যেকে তাদের ভিসা নবায়নে সক্ষম হবেন।
কোভিড ১৯ মহামারির কারণে ১০ থেকে ১৫ লাখ বাংলাদেশী শ্রমিক দেশে ফিরে আসতে বাধ্য হবে এমন আশঙ্কার কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, মহামারির মধ্যে মাত্র ১ লাখ ৩৭ হাজার বাংলাদেশী দেশে ফিরেছেন।