
ঢাকা: সরকারি ব্যয়ের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনে সরকার ও বিরোধী, উভয় পক্ষের সংসদ সদস্যরা সোমবার এনিয়ে কথা বলেছেন।
জাতীয় সংসদে সম্পূরক বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে ৩৮টি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত ব্যয়, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ চুরিসহ আর্থিকখাতের বিভিন্ন অনিয়ম নিয়ে আলোচনা করেন সংসদ সদস্যরা।
বিভিন্ন প্রকল্পে কাজ শুরুর আগেই কোটি কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে বলেই ৩৮টি মন্ত্রণালয় বাজেটের অতিরিক্ত ব্যয় করেছে – এমনটাই অভিমত বিরোধী দল জাতীয় পার্টির (জাপা) নেতা নুরুল ইসলাম মিলনের। আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি আরো বলেন, ‘ব্যয় করা টাকা অনুমোদনের জন্য মন্ত্রণালয়গুলো যে দাবি করেছে, সে বিষয়ে আমাদের আপত্তি আছে। কারণ অতিরিক্ত ব্যয় হওয়া প্রকল্পগুলো সম্পর্কে এখানে বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি। কাজে স্বচ্ছতা নেই। কোনো জবাবদিহি নেই।’
সরকারি দলের সংসদ সদস্য মহীউদ্দীন খান আলমগীর বলেন, ‘সংবিধান অনুযায়ী বাজেটে পরিবর্তন-পরিমার্জনের এখতিয়ার শুধু সংসদের। কিন্তু ৩৮টি মন্ত্রণালয় সংসদের অনুমোদন না নিয়ে আগেই টাকা ব্যয় করে ফেলেছে।’ তাই সম্পূরক বাজেট অনুমোদনের আগে এনিয়ে সংসদীয় কমিটি আলোচনা হওয়া উচিত জানিয়ে আলমগীর বাজেট বাস্তবায়নে একটি কমিশন গঠনেরও দাবি জানান।
স্বতন্ত্র সাংসদ রুস্তম আলী ফরাজী বলেন, ‘অভ্যাসগত কারণে মন্ত্রণালয়গুলো বাজেটের অতিরিক্ত ব্যয় করে থাকে। এর কারণ সময়মতো টেন্ডার ডাকা হয় না। বিলম্বে কাজ শুরু করা হয়। ততক্ষণে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যায়। তার সঙ্গে আছে মন্ত্রণালয়ের অস্বচ্ছতা ও অনিয়ম।’
রুস্তম আরো বলেন, ‘মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক (সিএজি) কী করেন? তারা সঠিক সময়ে অডিট করেন না। সরকারের কোথায় কী অনিয়ম হচ্ছে, সেটা আমরা জানতে পারি পাঁৃচ-ছয় বছর পরে।’
নিউজনেক্সটবিডি ডটকম/এসকে