
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এবং নিজেদের রক্ষায় ইউক্রেনের অদম্য অনুপ্রেরণাকে ‘পারসন অব দ্য ইয়ার’ আখ্যায়িত করেছে বিশ্বখ্যাত সাময়িকী টাইম। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনে হামলা করে ভ্লাদিমির পুতিনের রাশিয়া। তারপর থেকে ইউক্রেনজুড়ে অনবরত হত্যা, হামলা, বারুদের গন্ধ, রক্তের ছবি। তার মাঝেও লড়াই চালাচ্ছে ইউক্রেন। পেয়েছে কিছুটা সাফল্যও।
সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যখন ইউক্রেন স্বাধীনতা পায়, ভলোদিমির জেলেনস্কির বয়স তখন সবে ১২ বছরের কিশোর। কমেডিয়ান থেকে রাজনীতিতে নাম লেখিয়ে হন দেশের প্রেসিডেন্ট। ২০১৯ সালে নির্বাচনে ৭৩ শতাংশ ভোট পেয়ে রাষ্ট্রপ্রধান হন জেলেনস্কি।

এমন অবস্থায় এ বছরের ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে রুশ আগ্রাসনের সম্মুখীন হয় ইউক্রেন। এরপর থেকে জেলেনস্কির নেতৃত্বে অদম্য প্রাণশক্তি নিয়ে নিজেদের অখণ্ডতা রক্ষায় রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়ে যাচ্ছে ইউক্রেনীয় সামরিক বাহিনী। তবে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ পশ্চিমা শক্তি ইউক্রেনের পাশে রয়েছে।
টাইম ম্যাগাজিন জানাচ্ছে, যে পদ্ধতিতে বিশ্ব কূটনীতিকে নাড়া দিয়েছেন খোদ জেলেনস্কি, তা গত কয়েক দশকে দেখা যায়নি।এছাড়াও যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ ছেড়ে না পালিয়ে কিয়েভে থেকে তিনি যেভাবে দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, তা-ও প্রশংসা কুড়িয়ে নিয়েছে টাইমম্যাগাজিনের।
যুদ্ধের করুণ পরিস্থিতির মাঝেও বিশ্বকে ও নিজের দেশকে যেভাবে গোপন এলাকা থেকে রোজ বার্তা দিয়ে মনোবল তিনি ধরে রাখার চেষ্টা করেছেন, তা-ও নজর কেড়েছে ম্যাগাজিনের।
সব মিলিয়ে এই বছরের সেরার সেরা ব্যক্তিত্ব হিসাবে টাইম ম্যাগাজিন তুলে ধরেছে ইউক্রেনের রাষ্ট্রনেতা প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে।