
নয়াদিল্লি: ভারতের বিহার রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির জন্য ভারতীয় পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় পশ্চিমবঙ্গে ফারাক্কা বাঁধের প্রায় সবগুলো গেট খুলে পানি ছেড়ে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে। কর্মকর্তারা আশা করছেন, এর ফলে বিহারে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হবে।
কেন্দ্রীয় পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সমীর সিনহা বিবিসি বাংলাকে জানান, বর্ষাকালে অন্য সময়ের তুলনায় ফারাক্কায় বেশি গেট খোলা থাকে। কিন্তু বিহার প্রদেশে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় এখন প্রায় ১০০টি গেট খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ফারাক্কায় ১০৪টি গেট আছে। কর্মকর্তাদের আশা, গেটগুলো খুলে দিলে ১১ লাখ কিউসেক পানি সরে যাবে। ফলে বিহারের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হবে। গত এক সপ্তাহে এই রাজ্যে ১০ লাখের বেশি মানুষ বন্যা কবলিত হয়েছে।
সমীর সিনহা জানান, ফারাক্কার গেটগুলো খুলে দেয়ার বিষয়ে বাংলাদেশকে আগেই অবহিত করা হয়েছে। এছাড়া বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে পরামর্শও করা হয়েছে।
বছরের এই সময়ে ফারাক্কায় গেটগুলো খোলা থাকার কথা এবং নতুন করে গেট খুলে দেয়ার কিছু নেই বলেই মনে করেন বাংলাদেশের বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্র এবং যৌথ নদী কমিশনের কর্মকর্তারা।
তাদের বক্তব্য, সাধারনত শুষ্ক মৌসুমে পানি ধরে রাখার জন্য গেটগুলো তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু এখন নদীতে পানি প্রবাহ বেশি থাকায় এগুলো বন্ধ থাকার কথা নয়।
এদিকে বাংলাদেশের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, দেশের ভেতরে অতিরিক্ত পানির প্রবাহ আসলে পদ্মায় পানি বেড়ে যাবে কিন্তু বন্যা পরিস্থিতির তৈরি হবে না।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ খন্দকার উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের ভেতরে ব্রহ্মপুত্র-যমুনার ভেতর দিয়ে সবচেয়ে বেশি পানি প্রবাহিত হয়। যেহেতু এখন ব্রহ্মপুত্র-যমুনায় পানি কমছে সেজন্য পদ্মার পানি বাড়লেও সেটি কোন বন্যা পরিস্থিতির তৈরি করবে না।
প্রতিবেদন: ফারহানা করিম, সম্পাদনা: সজিব ঘোষ