
ঢাকা: ফিনল্যান্ডের হেলসিংকিতে অনুষ্ঠিতব্য ইউরোপের সবচেয়ে বড় স্টার্টআপ প্রযুক্তি আয়োজন ‘স্ল্যাশ ২০১৬ গ্লোবাল ইমপ্যাক্ট এক্সিলারেটর’ ( জিআইএ) এ অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাচ্ছে বাংলাদেশি স্টার্ট আপ আরএক্স ৭১ ও ‘১০ মিনিটস স্কুল’।
আগামী ২২ নভেম্বর শুরু হওয়া ৮দিনের এই ইভেন্টে বিশ্বের বড় বড় অর্থায়নকারী প্রতিষ্ঠানের কাছে নিজ নিজ উদ্ভাবনী প্রকল্প তুলে ধরতে পারবেন প্রতিযোগীরা। সেখান থেকে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রকল্প পছন্দ হলে মিলতে পারে বড় অর্থায়ন। এছাড়াও গত বছর প্রথম পুরস্কার ছিল সাড়ে ছয় লাখ ইউরো (সাড়ে পাঁচ কোটি টাকার বেশি)।
সম্প্রতি স্ল্যাশের ওয়েবসাইটে (http://www.slush.org) জিআই্এ প্রতিযোগী হিসেবে ফিনল্যান্ডের টিকিট পাওয়া প্রতিযোগিদের নাম প্রকাশ করা হয়েছে। এই সকল স্টার্টআপ গুলোর ফিনল্যান্ডে যাবার যাবতীয় খরচ স্লাশ নিজে বহন করে থাকে।
স্ল্যাশের তথ্য অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক এই প্রতিযোগিতায় হাজারো উদ্যোক্তা অংশ নেন। স্ল্যাশের আঞ্চলিক প্রতিযোগিতায় উদ্ভাবনী প্রকল্প উপস্থাপন করেন উদ্যোক্তারা। বিশ্বের ২১ টি দেশে এ প্রতিযোগিতা হয় এবং ৪০টি স্টার্টআপ চূড়ান্ত পর্বের জন্য নির্বাচিত হয়।
২৬ আগস্ট ঢাকার ধানমন্ডি ইএমকে সেন্টারে অনুষ্ঠেয় প্রাথমিক বাছাই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীরা নিজেদের প্রকল্প তুলে ধরেন। পরে বাংলাদেশ পর্বের চূড়ান্ত বাছাই হয় এমসিসি লিমিটেড এর এম ল্যাব এ। বাংলাদেশ থেকে প্রথমে তিনটি স্টার্টআপ কে বাছাই করে পাঠানো হয় এবং স্লাশ গ্লোবাল সিলেকশান টিম দুটি প্রকল্পকে হেলসিংকির বৈশ্বিক ইভেন্টের জন্য নির্বাচিত করেছেন।
বাংলাদেশ থেকে স্ল্যাশের প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়া প্রসঙ্গে আরএক্স৭১ এর সহ প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন জানান, স্ল্যাশের ইভেন্টে আরএক্স ৭১ অংশ নেবে এটা গর্বের বিষয়। মানুষের দৈনন্দিন জীবনের স্বাস্থ্যগত সমস্যার সমাধান দেবার চেষ্টায় গত ২ বছরের বেশি সময় ধরে ৬০ জনের বেশি উদ্যমী তরুণ তরুণী মিলে প্রচুর গবেষণালব্ধ তথ্য দিয়ে আরএক্স৭১ সার্ভিসটি চালু করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, গত মে মাসের সার্ভিসটি চালু করার পর আমরা ব্যাপক সাড়া পাই। এই ৫ মাসে সাড়ে তিন লাখ মানুষ আমাদের সার্ভিস নিয়েছে প্রায় ৪৫ লাখের বেশিবার। মানুষের কাছে পৌঁছানোর জন্য বিশ্বের বড় বড় বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্যই আমরা স্লাশকে বেছে নিয়েছি। গত বছরে স্লাশ এ সারা বিশ্ব থেকে ৭০০ এর বেশি বিনিয়োগকারী এবং বিবিসি, ফোর্বস, টেকক্রাঞ্ছ সহ ৬০০ এর বেশি মিডিয়া অংশগ্রহণ করে।
প্রতিবেদক: রেজাউল করিম, সম্পাদনা: জাহিদ