
সাফিয়া খন্দকার রেখা:
কত কোটি দীর্ঘশ্বাস গ্রাস করেছিল
বাংলাদেশকে সেই মূহুর্তে!
কিছু প্রশ্ন চিরস্থায়ী।
ইতিহাসের কালো অধ্যায়ের রক্ত স্রোত
এখনো বিদীর্ণ করে
তোমার দেয়া মানচিত্রের বুক।
চেতনার যে লাল রঙ দিয়ে গেছো
লক্ষ কোটি আগুনের ফুলকি হয়ে
সে ভাঙতে গড়তে শিখিয়েছে।
সংকটে তোমার আদর্শ
শোষনের নিগড় ভাঙতে শিখায়।
তোমার নিস্তব্ধ ঘুম,
রক্তাক্ত করিডোর,
চক্ষুর অকম্পিত দৃষ্টি
অদ্ভুত শব্দ হয়ে
এখনো ভাসছে বাতাসে।
নিঃসাড় শরীর আঘাতে শুয়ে আছে
সেতো কেবলি ছায়া মাত্র।
পালাতে ব্যস্ত ছিল
তাইতো ওরা দেখেনি
কি উজ্জ্বল দৃঢতায়
তুমি উঠে দাঁড়িয়ে ছিলে
বলেছিলে
কি বোকা তোমরা!
তুমি নতুন উদ্দীপনায় নিজ ভ্রুন তৈরি করলে,
পনেরই আগস্টের সেই দিন সেই ক্ষনে
এ দেশের যত মা সঙ্গমে লিপ্ত ছিল
তুমি তাদের সকলের জঠরে ঠাঁই নিলে।
চলমান সকল শুক্ররস সেদিন
তোমায় ধারণ করেছিল।
লক্ষ কোটি মুজিবের ভ্রুন সনাক্ত করে
বাংলার মায়েরা সেদিন নিজেদের জঠরকে
ধন্য মনে করে ছিল।
লগ্ন ভেদ করে দশ মাস দশদিন পরে
শ্রমিকের ঘরে,কৃষকের ঘরে
তাঁতির ঘরে,জেলের ঘরে,
নেতার ঘরে,লেখকের ঘরে,
মজুরের ঘরে তুমি ফিরে এলে।
বাংলার আকাশ বাতাস,চন্দ্র সুর্য
গ্রহ নক্ষত্র,সাগর নদী,পাহাড় চুড়ায়
ধ্বনি প্রতিধ্বনি হয়ে ফিরছে একটি বার্তা
“ফিরে এসেছি— আমি ফিরে এসেছি,
আজ তোমরা গুনেও শেষ করতে পারবেনা
কত লক্ষ কোটি মুজিব হয়ে
আমি ফিরে এসেছি
আমি ফিরে এসেছি।
নিউজনেক্সটবিডি ডটকম/টিএস