
ময়ূখ ইসলাম, ঢাকা: ‘এক দাম দেড় শ’, যা নেবেন দেড় শ’। `বাইছা লন, দেইখা লন’ – এমন নানা ধরনের হাঁকডাকে সরগরম রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার ফুটপাত। ঈদ এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে ফুটপাতের দোকানগুলোর এই হাঁকডাকও ক্রমে বাড়ছে।
রাজধানীর নিউমার্কেট, ফার্মগেটসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ওইসব এলাকায় ব্যয়বহুল বিপণিবিতানগুলোর চেয়ে ফুটপাতের বিকিকিনিই জমজমাট। ঈদের নতুন জামা-কাপড়ের জন্য মহানগরীর লাখো নিম্নবিত্ত মানুষদের ভরসা এই অবৈধ অস্থায়ী দোকানগুলো। শত শত হকারের পরিবারের ঈদও নির্ভর করছে ফুটপাতের এই বেঁচাকেনার ওপর।
রাজধানীর নিউমার্কেট ও ফার্মগেট এলাকার ফুটপাতের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের জন্য পাঞ্জাবি, শার্ট, প্যান্ট, গেঞ্জি, লুঙ্গি থেকে শুরু করে নানা ধরনের তৈজসপত্রের পশরা সাজানো হয়েছে। নারীদের বাহারি শাড়ি, সালোয়ার, থ্রি-পিস’ও আছে। রয়েছে বাহারি রঙা শিশুদের পোশাকও। জুতা, ঘড়ি, সানগ্লাসও মিলছে খুবই অল্প দামে।
নিউমার্কেট এলাকার ফুটপাতে পাঞ্জাবির পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতা সামিউল ইসলাম। নিউজনেক্সটবিডি ডটকম’র সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘আমার দোকানে ১৫০ টাকা থেকে ৬০০ টাকা দামের পাঞ্জাবি আছে। সস্তায় পাজামাও পাওয়া যাবে ।’
ক্রেতাদের সম্পর্কে সামিউল বলেন, ‘যাদের আয় কম, তারাই ফুটপাতে আসেন। তবে মধ্যবিত্তরাও যে আসেন না, তা নয়।’ তিনি জানান, এ পর্যন্ত বেশ ভালোই বিক্রি হয়েছে। ১৫ রোজার পর আরো বাড়বে, চাঁদরাত পর্যন্ত বিক্রি চলতেই থাকবে।
ফার্মগেট এলাকার ফুটপাতের পোষাক বিক্রেতা ফারুক হোসেন নিউজনেক্সটবিডি ডটকম’কে বলেন, ‘আমার এখানে বাচ্চাদের গেঞ্জি ১০০ থেকে ৩০০, প্যান্ট ২০০-৪৫০ টাকা এবং ফ্রক ৩০০ থেকে ৫৫০ টাকায় পাওয়া যাবে।’ যদিও ফুটপাতে কেনাকাটা করতে আসা ক্রেতাদের অভিযোগ, এখানে কাপড়ের মানের তুলনায় দামটা একটু বেশি। রমজান আসতেই আগের বারের তুলনায় পোশাকের দাম বাড়িয়ে প্রায় দ্বিগুণ করেছেন বিক্রেতারা।
এলাকা ভেদে ফুটপাতের দোকানগুলোয় ছেলেদের শার্ট বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা, জিনস প্যান্ট ৩৫০ থেকে সাড়ে ৭০০ টাকা, টি-শার্ট ১৫০ থেকে ৩৫০ টাকা, বাচ্চাদের থ্রি-কোর্য়াটার প্যান্ট ৩০০ টাকা, গেঞ্জির সেট ২০০ থেকে ৫০০ টাকা, ফ্রক ও টপস ২৫০ থেকে ৫০০ টাকা, ছেলে ও মেয়ে শিশুদের পোলো গেঞ্জি ২০০ থেকে ৪০০ টাকা এবং মেয়েদের থ্রি-পিস ৪৫০ থেকে এক হাজার ৫০০ টাকা এবং শাড়ি ৪৫০ থেকে দুই হাজার টাকায়।
নিউজনেক্সটবিডি ডটকম/এমআই/এমএইচ/এসকে/এসজি