
ঢাকা: নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে অংশ নিতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বঙ্গভবনে পৌঁছেছেন। রোববার বিকেল ৩টা ৫মিনিটে গুলশানের ফিরোজা বাসভবন থেকে রওয়ানা দেন। এসময় দলটির চেয়ারপারসনের নেতৃত্বে নীতিনির্ধারণী পর্ষদ স্থায়ী কমিটির ১২ জন সদস্য বঙ্গভবনে যান।
অন্যদিকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সহ দলের অন্য সিনিয়র নেতারা সকাল থেকেই রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ছিলেন। বিএনপি চেয়ারপারসনের উপস্থিতির আগে তারা বঙ্গভবনে পৌঁছান।
নিরপেক্ষ সার্চ কমিটি এবং নির্বাচন কমিশন গঠন সহ ১৩ দফা দাবি নিয়ে রাষ্ট্রপতির সাথে স্বাক্ষাৎ করতে এসেছে বিএনপি। রোববার বিকেল ৪.৩০ মিনিটে বিএনপিকে স্বাক্ষাতের সময় দেয় রাষ্ট্রপতি। বিএনপি চেয়ারপারসনের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে অন্যদের মধ্যে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক সেনাপ্রধান মাহবুবুর রহমান, ড. আবদুল মঈন খান, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমীর খসরু মাহামুদ চৌধুরী, তরিকুল ইসলাম, মির্জা আব্বাস, রফিকুল ইসলাম মিয়া রয়েছেন।
উল্লেখ্য, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দেশের বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থা, নিরপেক্ষ সার্চ কমিটি এবং নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে সরকারের উদ্দেশ্যে ১৩ দফা প্রস্তাবনা উপস্তাপন করেন। সে সময় বলা হয়েছিল সরকার চাইলে আলোচনার মাধ্যমে এ প্রস্তাবনার পরিবর্তন আনতে পারবেন। কিন্তু খালেদা জিয়ার প্রস্তাবনা শেষ হওয়ার সাথে সাথেই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, খালেদার প্রস্তাবনা অন্তসার-শূন্য।
এর পরেই নিরপেক্ষ সার্চ কমিটি গঠন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনার জন্য রাষ্ট্রপতির সরনাপন্ন হন বিএনপি। প্রথমে বঙ্গভবনে টেলিফোনে রাষ্ট্রপতির সাথে স্বাক্ষাতের চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে পরবর্তীতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে আলোচনার জন্য চিঠি দেয় বিএনপি। এর পরেই রাষ্ট্রপতি সিদ্ধান্ত নেই বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচন করবে। তারই পরিপেক্ষিতে বিএনপিকে সময় দেয় ১৮ ডিসেম্বর।
এর আগে ২০১২ সালে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানও সার্চ কমিটি গঠনের আগে বিএনপির সঙ্গে সংলাপ করেছিলেন। তখন দলটির জ্যেষ্ঠ নেতা মাহবুবুর রহমান ওই প্রতিনিধি দলে ছিলেন। তা নিয়ে তার অনুসারীরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিলেন। বিষয়টি নিয়ে বিএনপির মধ্যেও এক ধরনের অস্বস্তি সৃষ্টি হয়েছিল।
প্রতিবেদন: শেখ রিয়াল, সম্পাদনা: ইয়াসিন