
ঢাকা: শামীমা আক্তার রুনা (৪০) নামের রহস্যময় এক নারী রোববার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। মৃত্যুর আগে তিনি দাবি করেন, বদজিনে তার গায়ে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। তবে কীভাবে দেহে আগুন লাগে, বিষয়টি স্পষ্ট নয়।
ঢামেকের বার্ন ইউনিটের আবাসিক চিকিৎসক পার্থ শঙ্কর পাল বলেন, “দগ্ধ রুনাকে গুরুতর অবস্থায় শনিবার সকালে হাসপাতালে নিয়ে আসেন বিমানবন্দর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফরহাদ হোসেন। তার শরীরের ৪৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসা চলছিল। রোববার সকালে তিনি মারা যান। ময়নাতদন্তের জন্য তার মরদেহ ঢামেক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।”
বিমানবন্দর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফরহাদ হোসেন বলেন, “দগ্ধ অবস্থায় চিৎকার করতে করতে রুনা বিমানবন্দর পুলিশ ফাঁড়ির সামনে আসেন। এরপর শনিবার সকালে ৯টার দিকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়।”
ঢামেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার সকালে রুনা বলেন, “ভাই, বদজিনে আমার দেহে আগুন দিছে। আমার মুখে হাত দিয়া দ্যাখেন, খুব কষ্ট হইতেছে। জিন এখনো আমার লগে আছে। আমার খুব কষ্ট হইতেছে ভাই। ভাই গো, আমার জানডা লয়া লন, জিন এখনো আছে।”
তিনি আরো বলেন, “রাজধানীর ভাটারা থানাধীন নতুনবাজার এলাকায় আমি থাকতাম। বাসাবাড়িতে ঝিয়ের কাজ করতাম। সে সময় আমার ওপর জিনের আছর পড়ে। এরপর আমি গ্রামের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার কাশিপুরে চলে যাই।”
গ্রন্থনা ও সম্পাদনা: আবু তাহের