
ঢাকা: রাজধানীর বনশ্রী ও আফতাবনগর এলাকার ইস্টার্ন হাউজিং’র প্রকল্পে কতটি জলাধার আছে তা যাচাই করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপকের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের কমিটি করে জলাধারের সংখ্যা ও জমির পরিমাণ নির্ণয় করে দেড় মাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে পরিবেশ মন্ত্রণালয়কে।
সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি আদেশের লিখিত অনুলিপি বৃহস্পতিবার প্রকাশ করা হয়। পরে আবেদনের পক্ষের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান।
ইস্টার্ন হাউজিংয়ে কতটি জলাধার ও জলাভূমি ছিলো তা নির্ণয়ে হাইকোর্টে হিউম্যান রাইটস এন্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে হাইকোর্টে আবেদনটি করা হয়েছিল। ১০ মে এ আবেদন খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। পরে হাইকোর্টের এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিলে যান মনজিল মোরসেদ।
আপিল বিভাগে ইস্টার্ন হাউজিংয়ের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রফিক-উল হক। আবেদনের পক্ষে ছিলেন মনজিল মোরসেদ। মোরসেদ জানান, এই প্রকল্পে ৯০০ একরের ওপর জমি আছে। এখানে অনেক জলাধার ভরাট করা হয়েছে। এখনো অনেক জলাভূমি ভরাট করা হচ্ছে। এই প্রকল্প পুরোপুরি বাস্তবায়িত হলে পরিবেশের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। তাই আমরা জলাধার রক্ষায় পরিবেশ ও জলাধার আইনের ভিত্তিতে হাইকোর্টে আবেদনটি করি।
নিউজনেক্সটবিডি ডটকম/এফএইচ/এমএস/এসজি