
চট্টগ্রাম: বন্দরে কন্টেইনার পরিবহন ধর্মঘট এক মাসের জন্য স্থগিত করেছে প্রাইম মুভার্স এন্ড ট্রেইলার ওনার্স এসোসিয়েশান। সোমবার বিকেলে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ভবনে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন ও পুলিশ প্রশাসনের সাথে এক বৈঠক শেষে এই ঘোষণা দেন সংগঠনটির নেতারা।
এর আগে সকাল আটটা থেকে সিটি করপোরেশনের বর্ধিত কর প্রত্যাহার ও পুলিশি হয়রানি বন্ধসহ সাত দফা দাবিতে চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনার আনা নেয়া বন্ধ করে দেয় সংগঠনটির অধীনে থাকা কয়েক হাজার লরি ও ট্রেইলার।
বৈঠক শেষে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, ‘কর বৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনার আশ্বাস ও ট্রেইলারগুলোর জন্য দ্রুততম সময়ের মধ্যে টার্মিনালের ব্যবস্থা করার আশ্বাসে মালিকরা ধর্মঘট প্রত্যাহার করে কন্টেইনার পরিবহন শুরু করেছে।’
প্রাইম মুভার্স মালিকদের সাথে বৈঠকে মেয়র বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী কর’র এই হার নির্ধারন করা হয়েছে। এতে সিটি করপোরেশনের তেমন কিছু করার নেই, তারপরও মালিকদের দাবি নিয়ে মন্ত্রণালয়ে কথা বলে দেখা হবে কিছু একটা করা যায় কি-না।’
তিনি বলেন, ‘আমি জনগনের সেবা করার জন্য এই জায়গায় বসেছি। প্রধানমন্ত্রীও আমার উপর আস্থা রেখেছেন, দায়িত্বশীলতা নিয়ে কাজ করি, আপনাদের এই দাবি সমূহ একেবারেই আমার আওতার বাইরে নয়। এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে হলে সময়ের প্রয়োজন।’
বৈঠকে প্রাইম মুভার্স এন্ড ওনার্স এসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, ‘নানাভাবে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে মালিক-চালকদের, ট্রেইলরের ইঞ্জিনের লাইসেন্স থাকলেও ইঞ্জিনের সাথে থাকা লরির মালামাল নিয়ে পুলিশ সমস্যা সৃষ্টি করছে। সঠিকভাবে পণ্য পরিবহনের স্বার্থে এসব হয়রানি কমাতে হবে।’
আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, ‘আমাদের দাবিগুলো যুক্তি সম্মত। তাই সবাই আমাদের দাবি পূরণের আশ্বাস দিয়েছে। এক মাসের জন্য ধর্মঘট স্থহিত করা হলো।’
সভায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার ইকবাল বাহার বলেন, ‘সবকিছু আইন অনুযায়ী চলতে হবে। লাইসেন্স না থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়ার তো কোন বিধান নেই। এজন্য তো মন্ত্রণালয়ের অনুমতি লাগবে। পুলিশের বিরুদ্ধে ঢালাও অভিযোগ করে কোন লাভ নেই। পুলিশ সবাইকে সহায়তা করে।’
এর আগে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের কর বৃদ্ধি করার প্রতিবাদসহ সাতদফা দাবিতে বড় আকারের কন্টেইনারবাহী লরি মালিকরা সকাল থেকে ধর্মঘট শুরু করেছে। ফলে এই সংঘটনের অধীনে থাকা কয়েক হাজার লং ট্রে্ইলর চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য আনা নেয়া বন্ধ রেখেছে।
প্রতিনিধি: সালেহ নোমান, সম্পাদনা: সজিব ঘোষ