
চট্টগ্রাম: সিটি করপোরেশনের কর বৃদ্ধির প্রতিবাদসহ সাতদফা দাবিতে ধর্মঘট করছে কন্টেইনারবাহী লরি মালিকরা। সোমবার সকাল থেকে এই ধর্মঘট শুরু হয়েছে। ফলে এই সংগঠনের অধীনে থাকা কয়েক হাজার লং ট্রে্ইলর চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য আনা নেয়া বন্ধ রেখেছে।
চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ পণ্য লরি, ট্রেইলর ও প্রাইম মুভার্সের মাধ্যমে পরিবহন হয়ে থাকে।
প্রাইম মুভার এন্ড ট্রেইলর ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু বকর ছিদ্দিক জানান, সিটি করপোরেশনের কর কমানো, টার্মিনাল নির্মাণ ও পুলিশি হয়রানি বন্ধ সহ সাত দফা দাবি পুরণের সুস্পষ্ট ঘোষণা না আসা পর্যন্ত ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে।
বন্দর কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে আলোচনা চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দাবিগুলো নিয়ে আজ (সোমবার) বিকেলে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়রের সাথে আলোচনার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।’
সিটি করপোরেশনের কর ৫০০ টাকা থেকে এক লাফে ১০ হাজার টাকায় উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক এবং এটা অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে বলেও জানান তিনি।
সাতদফা দাবির মধ্যে অন্যতম হচ্ছে- প্রাইম মুভার টেইলর অপারেটরদের হেভি লাইসেন্স প্রদান, বন্দর এলাকায় টার্মিনাল নির্মাণ ঘোষণার বাস্তবায়ন, ওভারলোড নিয়ন্ত্রণের নামে চাঁদাবাজি বন্ধ করা, বিআরটিএ প্রদত্ত লাইসেন্স অনুযায়ী ধারণ ক্ষমতার সমপরিমান পণ্য পরিবহনে বাধা না দেয়া।
এদিকে, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক প্রশাসন জাফর আলম জানান, লরিগুলো পণ্য আনা নেয়া বন্ধ রাখাতে বেসরকারি আইসিডিগুলো থেকে বন্দরে পণ্য আনা নেয়া বন্ধ হয়ে আছে। তাছাড়া বন্দরের অভ্যন্তরের কন্টেইনার পরিবহনের গতি কিছুটা কমে গেছে।
তাদের দাবির সাথে বন্দর কর্তৃপক্ষ ছাড়াও পুলিশ, সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষর মতো ছয়টি প্রতিষ্ঠান জড়িত। এই সব প্রতিষ্ঠানের উপর বন্দর কর্তৃপক্ষের কোন নিয়ন্ত্রণ নেই বলেও জানান তিনি।
প্রতিবেদন: সালেহ নোমান, সম্পাদনা: সজিব ঘোষ, জাহিদুল ইসলাম