
বরিশাল: সরকারি সদর বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের পাশে এবং সরকারি মহিলা কলেজের কাছে পুলিশ-ক্লাব সংলগ্ন পুকুর ভরাট করে পুলিশের বাণিজ্যিক স্টল নির্মাণের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ছাত্রী, অভিভাবক, পরিবেশ কর্মী ও অন্যান্যরা।
বৃহস্পতিবার নগরীর মল্লিক রোডে পুলিশ-ক্লাব পুকুর-পাড়ে ‘নদী-খাল বাঁচাও আন্দোলন বরিশালে’র ব্যানারে এই মানববন্ধন করা হয়।
এসময় বক্তব্য রাখেন সদর গার্লস স্কুলের প্রধান শিক্ষক মাহাবুবা হোসেন, ডা. মনিষা চক্রবর্তী, শুভঙ্কর চক্রবর্তী, রনজিৎ দত্ত ও এনায়েত হোসেন শিবলু।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, রাস্তার অপরপাশে বালিকা বিদ্যালয় এবং কাছেই মহিলা কলেজ থাকায় এ ভাবে স্টল নির্মাণে শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ বিঘ্নিত হবে। বাড়বে ইভটিজিংসহ মাদকের আড্ডা এবং অন্যান্য অপরাধ। শিক্ষার্থীদের সুস্থ স্বাভাবিক পরিবেশে বেড়ে ওঠার পথে তা বিরূপ প্রভাব ফেলবে।
এছাড়া পরিবেশ আইন অমান্য করে অন্যায়ভাবে সরকারি পুকুর ভরাট করে স্টল নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে এই এলাকায় প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্যও নষ্ট হবে।
তাই এ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা অবিলম্বে পুকুর ভরাট ও স্টল নির্মাণ বন্ধের দাবি জানান।
এ ব্যাপারে বরিশালের সহকারি পুলিশ সুপার মো. শিহাবউদ্দিন বলেন, ভূমিগ্রাসিদের হাত থেকে জমি রক্ষা এবং ময়লা আবর্জনা ফেলা বন্ধের জন্যেই তারা পুকুর পাড় ঘিরে স্টল তৈরি করছেন।
এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদফতরের কোনো অনুমতির প্রয়োজন নেই বলে দাবি করে তিনি বলেন তারা পরিবেশ আইন লংঘন করে কিছু করছেন না।
অন্যদিকে পরিবেশ অধিদফতরের বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক নজরুল ইসলাম জানান অবিলম্বে পুকুর ভরাট করে স্টল নির্মাণ বন্ধ করার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নোটিশ পাঠিয়েছেন।
উল্লেখ্য পুকুরটিতে জমির পরিমাণ প্রায় দুই একর। তা সরকারি জমি হিসেবে পুলিশ ক্লাবের নামে বরাদ্দকৃত। এর অর্ধেক ৭ বছর আগেই ভূমিগ্রাসিরা ভরাট ও দখল করে নেয়।
২০০৯ সালে এভাবে পুকুর ভরাট করার বিরূদ্ধে পরিবেশ আইনজীবী সমিতি ‘বেলা’ বরিশাল সদর সিনিয়র সহকারি জজ আদালতে মামলা দায়ের করে। এতে বরিশালের মেয়র, পরিবেশ অধিদফতরের উপ পরিচালক, জেলা প্রশাসক, এবং জেলা পুলিশ সুপারকে বিবাদী করা হয়। বিষয়টি বর্তমানে উচ্চ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
প্রতিবেদক, সম্পাদনা: জাহিদ