
বরিশাল: বরিশাল শিক্ষাবোর্ডের অধীনে উচ্চ মাধ্যমিক (এইচ.এস.সি) পরীক্ষার ফলাফলে জিপিএ -৫ এ বিপর্যয় ঘটেছে। পাশের হার সামান্য বাড়লেও বরিশাল শিক্ষাবোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছেন বিগত বছরের প্রায় অর্ধেক পরীক্ষার্থী।
এ বছর বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ১০৯টি কেন্দ্রে ৩১৫টি কলেজ হতে ৬১ হাজার ৫৩৮ জন পরীক্ষা দিয়েছেন। এদের মধ্যে পাশ করেছেন ৪৩ হাজার ১৫৭ জন (৭০.১৩%), যা গত বছরের (৭০.০৬) চেয়ে সামান্য বেশি।তবে পাশের হারে ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের ফলাফল ভালো।
বরিশাল ক্যাডেট কলেজসহ মাত্র দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশের হার শত ভাগ। এসব কলেজে ৫৪ জনে ৫৪জনই পাশ করেছেন।তবে কোথাও পাশের হার শূণ্য নেই। তবে বরিশাল শিক্ষাবোর্ডের অধীনে এ বছর এইচ.এস.সি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৭৮৭ জন, যা গত বছরের চেয়ে প্রায় অর্ধেক। ২০১৫ সালে বছরে জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন ১৩১৯ জন।
২৯ হাজার ৩৫৭ জন মেয়ে পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছেন ২১ হাজার ২৫০ জন যেখানে পাশের হার ৭২.৩৮ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৩৭৫ জন মেয়ে। অন্যদিকে, ৩২ হাজার ৮১৩ জন ছেলে পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছেন ২১ হাজার ৯০৭ জন অর্থাৎ পাশের হার ৬৮.০৭ শতাংশ। আর জিপি্এ-৫ ৪১৬জন। এক্ষেত্রে ছেলেদের জিপিএ-৫ এর সংখ্যা বেশি হলেও পাশের হারে মেয়েরা এগিয়ে। এদিকে, ৩২ জন বহিস্কৃত শিক্ষার্থীর মধ্যে ৩২ জন ছেলে ও ৭ জন মেয়ে।
জেলা ভিত্তিক ফলাফলে বরিশাল বিভাগে পিরোজপুর জেলা সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে। এ জেলায় ৪৭টি কলেজ ৮ হাজার ৪৭৫ জন পরীক্ষা দিয়েছেন। পাশ করেছেন ৬ হাজার ৩৬৭ জন অর্থাৎ পাশের হার ৭৫.১৩ শতাংশও আর জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৮০ পরীক্ষার্থী।
জেলা ভিত্তিক ফলাফলে সবচেয়ে খারাপ করেছে বরগুনা জেলা। এ জেলায় ৩৭টি কলেজ থেকে ৬ হাজার ৫১৪ পরীক্ষার্থী অংশ নেন। পাশ করেছেন ৩ হাজার ৫৪৩ জন অর্থাৎ পাশের হার ৫৪.৩৯ শতাংশ আর জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৪৮ জন।
বরিশাল শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মু. শাহ আলমগীর জানান, মূলত কয়েকটি বিষয়ে সৃজনশীল পদ্ধতি প্রবর্তনের কারণে পরীক্ষার ফলাফলে প্রভাব পড়েছে।
প্রতিনিধি, সম্পাদনা: আইরিন রবি, ইয়াসিন