
নিজস্ব প্রতিবেদক । নিউজনেক্সট বিডি ডট কম
পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত ১৪টি ক্ষুদ্র নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর সবচেয়ে বড় ধর্মীয় ও সামাজিক উৎসব বৈসাবী। পাহাড়ে ৩ দিন ব্যাপী চলবে বৈসাবীর বর্ণাঢ্য আয়োজন। বৈসাবীকে ঘিরে পাহাড়ের প্রতিটি এলাকা এখন উৎসব মুখর।কাপ্তাই হ্রদে গঙ্গাদেবীর উদ্দেশ্যে ফুল ভাসানোর মধ্য দিয়ে ১২ এপ্রিল শুরু হয়েছে এ উৎসব। হ্রদে ফুল ভাসানোর পর বন থেকে নিমপাতা ও ফুল তুলে ঘর সাজানোর কাজে লেগে পড়ে ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর তরুণ-তরুণীসহ সকলেই।
বৈসাবী উৎসব পাহাড়ের ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর ধর্মীয় উৎসব হলেও বৈসাবীর ৩ দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য এ আয়োজনে পাহাড়ী- বাঙ্গালী সকল সম্প্রদায়ের মানুষের উপস্থিতি থাকে চোখে পড়ার মত। বৈসাবীতে সকল সম্প্রদায়ের উপস্থিতিতে উৎসব সম্প্রীতির মিলনমেলায় পরিণত হয়।
১৩ এপ্রিল দ্বিতীয় দিন চৈত্র সংক্রান্তির দিনকে বলা হয় মুল বিজু বৈসু বা বিষুু। এদিন তারা ঘরে ঘরে ঐতিহ্যবাহী পাজনসহ অন্যান্য পাহাড়ী ঐতিহ্যবাহী খাবার রান্নার আয়োজন করে অতিথি আপ্যায়ন করেন।
আর ১৪ এপ্রিল থেকে ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত চলে মারমাদের ঐতিহ্যবাহী জল কেলি উৎসব। আগামী ১৬ এপ্রিল রাঙ্গামাটির রাজস্থলী উপজেলার বাঙ্গালহালিয়াতে মারমাদের বৃহত্তম পানি খেলা উৎসবের মধ্য দিয়েই সমাপ্তি হবে পাহাড়ের বৈসাবী উৎসব।