
ঢাকা: ভারতের সাথে তিস্তার পানি চুক্তি নয় গোপন চুক্তি হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান। তিনি বলেন, ‘ভারতের সাথে গোপন চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশকে দাসত্বে পরিণত করা হচ্ছে।’
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল কর্তৃক আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। নোমান বলেন, ‘ভারতের সাথে তিস্তার পানির চুক্তি কখনো পূরণ হবে না। এটি পানি মন্ত্রী স্পষ্ট করে দিয়েছেন। পানি চুক্তির নামে গোপন চুক্তি করা হচ্ছে যা দেশকে ভারতের দাসত্বে পরিণত করবে।’
তিনি বলেন, ‘ভারতের স্বার্থে যে চুক্তি করা হয়েছে সবই কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ভারত নদী বন্দর, স্থলবন্দর ব্যবহার করছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে। কিন্তু বাংলাদেশের সুবিধার্থে কোনো চুক্তিই পূরণ হয়নি।’
ভারতের সাথে আঞ্চলিক কানেকটিভিটির প্রয়োজন নেই। এটি পরবর্তীতে সব দেশ নির্ধারণ করা হবে। এখন এই চুক্তি করে ভারতকে খুশি করার কিছু নেই। এর আগেও আওয়ামী লীগ ২৫ বছরের জন্য চুক্তি করে বাংলাদেশকে দাসত্বে পরিণত করেছে। আবারো ষড়যন্ত্র করে একই রকমের চুক্তি করার পাইতারি করছে।’
দেশের সার্বভৌমত্ব নিয়েও খেলা হচ্ছে উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার ৭১ সালে বাংলাদেশের মানুষকে স্বাধীনতার সুফল দিতে পারেনি আজও এর সুফল পায়নি দেশের জনগণ। বাংলাদেশে গণতন্ত্র আজকে শুধু নির্বাসিত নয় একেবারেই হারিয়ে গেছে। আওয়ামী লীগ মুখে গণতন্ত্রের কথা বলে। কিন্তু তারা গণতন্ত্র বাদ দিয়ে উন্নয়ন করতে চাই। তারা এটা বোঝার চেষ্টা করে না যে গণতন্ত্র ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব নয়।’
বিএনপিকে আওয়ামী লীগ একমাত্র শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বি মনে করে এমন দাবি করেছেন দলের যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকও মনে করেন তাদের একমাত্র শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বি বিএনপি। মুখে যাই বলুক অন্তরে বিএনপিকে ঠিকই ভয় পায়।’
আওয়ামী লীগের ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ‘ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য আওয়ামী লীগ ধর্ম নিরপেক্ষতার কথা বলেন। তাদের ধর্ম হচ্ছে ক্ষমতার জন্য। ভারতে গিয়ে সিঁদুর, চন্দন দিতে পারেন আবার লক্ষ্মীপুরে গিয়ে নূহ (আ:) এর নৌকায় ভোট চায়।’
মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইসতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ ইবরাহিম বীরপ্রতীক, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান ও নির্বাহী কমিটির সদস্য আবুল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিবেদন: শেখ রিয়াল, সম্পাদনা: সজিব ঘোষ