
মিশুক মনির, ঢাকা বিশ্বদ্যালয়: সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর একের পর এক যেভাবে সংঘবদ্ধ পরিচালিত হচ্ছে, তাতে এদেশে আমাদের মত সংখ্যালঘু ভিন্ন ভাষা-ভাষী জাতি ও সম্প্রদায়ের বসবাস বাস্তবিকেই কঠিন ও দুঃসহ হয়ে পড়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের অস্তিত্ব হুমকির সম্মুখীন।
অবিলম্বে আটক পিসিপি নেতা-কর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি প্রদান, বাহ্মনবাড়িয়াসহ বিভিন্ন স্থানে হিন্দু বসতি-উপাসনায় ও সাহেবগঞ্জে সাঁওতাল জনগোষ্ঠীর ওপর হামলাকারী খুনীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবিতে এক বিক্ষোভ সমাবেশ বক্তারা এসব কথা বলেন। রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাষ্কর্যের সামনে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ (পিসিপি) বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে।
বক্তারা বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক এসব হামলায় স্থানীয় ক্ষমতাসীন দলের নেতা কর্মী, প্রশাসন ও পুলিশের ভূমিকা ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। দোষীদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হোক।’
সংখ্যালঘুদের হয়রানি ও ধরপাকড় থেকে পরিত্রাণ চেয়ে বক্তারা বলেন, ‘আমরা এখন বাংলাদেশ নামক কারাগারে বাস করছি। যেখানে মিথ্যা মামলা দিয়ে পাহাড়ী নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করে হয়রানি করা হচ্ছে। চট্টগ্রামে ‘১১দফা নির্দেশনা’ প্রত্যাহার করে পিসিপির নেতা বিনয়ন, বিপুল, ও অনিলসহ আটক ইউপিডিএফ ভুক্ত নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নিঃশর্ত মুক্তি দানের দাবি জানান।
বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক বিপুল চাকমার সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে স্বাগত বক্তব্য রাখেন রোনাল চাকমা। সংগঠনটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে মিছিল করে। এরপর সংগঠনটির পক্ষ থেকে তিনজন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয় বরাবর স্মারকলিপি পেশ করতে সচিবালয় যায়।
সম্পাদনা: ইয়াসিন