
চট্টগ্রাম: মিয়ানমার থেকে প্রাণভয়ে সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে প্রবেশ করা রোহিঙ্গার সংখ্যা প্রায় ৩৪ হাজারে পৌঁছেছে। মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক অভিবাসী সংস্থা আইওএম ও জাতিসংঘের শরনার্থী বিষয়ক হাইকমিশন ইউএনএইচসিআরের এক যুক্ত বিবৃতিতে এই তথ্য দেয়া হয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেটনো মারসুদি ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী মিয়ানমারের দাঙ্গা কবলিত রাখাইন রাজ্য থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় প্রার্থী রোহিঙ্গাদের অবস্থা সরেজমিনে পর্যবেক্ষন করেন। এসময় আইওএমের বাংলাদেশ প্রতিনিধি শরত দাশ ও ইউএনএইচসিআরের বাংলাদেশ প্রতিনিধি শিনজি কোবো ও দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সাথে উপস্থিত ছিলেন বলে যুক্ত বিবৃতিতে বলা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, গত অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ৩৪ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদের এই সফর, আশ্রয় প্রার্থী রোহিঙ্গাদের রক্ষা ও তাদের মৌলিক চাহিদা পূরণে সহায়ক ভুমিকা রাখবে।
কক্সবাজারে ইউএনএইচসিআরের দুটি নিবন্ধিত ক্যাম্পের প্রায় ৩২ হাজার রোহিঙ্গা শরনার্থীকে তাদের খাদ্য ছাড়া অন্যান্য মৌলিক চাহিদা পূরণে সহায়তা দিচ্ছে।
বিবৃতিতে সংস্থাটির বাংলাদেশ প্রধান শিনজি কোবো বলেছেন, সদ্য আসা রোহিঙ্গাদের প্রবেশ করতে দেওয়ার জন্য ইউএনএইচসিআর বাংলাদেশ সরকারকে উৎসাহিত করছে যাতে এসব রোহিঙ্গাদের সুরক্ষা নিশ্চিত এবং তাদের কাছে মৌলিক মানবিক চাহিদা পৌঁছানো যায়।
একই বিবৃতিতে আইওএম বাংলাদেশ প্রধান শরত দাশ বলেন, সংস্থাটি কক্সবাজারে অস্থায়ী দুটি ক্যাম্প ও এর আশপাশের এলাকার ঝুঁকিপূর্ণ এক লাখ রোহিঙ্গাকে বিভিন্ন ধরনের সহায়তা করে আসছে। নতুন আসা রোহিঙ্গাদের নিয়েও এসব কর্মসূচী সম্প্রসারিত করা হচ্ছে।
আইওএম জাতিসংঘ অনুমোদিত সংস্থা হিসেবে রোহিঙ্গাদের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের ২০১৩ সালে করা মন্ত্রী সভায় অনুমোদিত নীতিমালা বাস্তবায়নে সহযোগিতা করছে, উল্লেখ করেন তিনি।
গত ৯ অক্টোবর মিয়ানমারের সীমান্ত রক্ষীবাহিনীর তিনটি পোষ্টে হামলা চালিয়ে নয়জনকে হত্যার পর সেখানে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে সেনাবাহিনী। এরপর থেকে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া শুরু করে।
প্রতিবেদক: সালেহ নোমান, সম্পাদনা: ইয়াসিন