
ঢাকা: বাংলাদেশ সফর শেষে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং শনিবার ঢাকা ছাড়েন। তাকে বহনকারী বিমানটি সকাল ১০টা ২০ মিনিটের দিকে ভারতের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়ে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শি জিনপিংকে বিদায় জানান। জিনপিংয়ের এ সফরে বাংলাদেশ-চীন এখন নতুন এক টার্নিং পয়েন্টে এসে দাঁড়িয়েছে। এ আশাবাদ ব্যক্ত করেছে দু’দেশই।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শুক্রবার শীর্ষ বৈঠকে শেখ হাসিনা ও শি জিনপিং সমন্বিত নিবিড় অংশীদারির সম্পর্ককে কৌশলগত অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতার পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। দু’দেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা, জঙ্গিবাদ মোকাবিলা, সমুদ্রসীমা সুরক্ষা ও উন্নয়নের পাশাপাশি আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ইস্যুতে একে অন্যের পাশে থাকার অঙ্গীকারও করেন তারা। এসময় তারা একসঙ্গে কর্ণফুলী টানেলসহ ছয়টি প্রকল্পের ফলক উন্মোচন করেন। কর্ণফুলী নদীর নিচে টানেল নির্মাণ, ছয়টি জাহাজ কেনা ও রাজধানীবাসীর পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থার আধুনিকায়ন প্রকল্পে একশো ২৫ কোটি ডলার বা দশ হাজার কোটি টাকা অর্থায়নের চুক্তি সই করে দু’দেশ। এছাড়া ২৮টি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে ২২ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগে রাজি হয় চীন, বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ পৌনে দুই লাখ কোটি টাকা। আরো নয়টি ঋণচুক্তি স্বাক্ষর করে দুই দেশের সরকার। এতে কত অর্থ দেবে চীন, তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি।
সরকারের নীতিনির্ধারকরা জানান, স্বাক্ষরিত ১২টি ঋণচুক্তিতে চীনের মোট অর্থায়নের পরিমাণ প্রায় ২৫ বিলিয়ন ডলার বা দুই লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। এ বৈঠকের পর দুই নেতা এ ২৭টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর প্রত্যক্ষ করেন। এর মধ্যে ১৫টি সমঝোতা স্মারক এবং ১২টি ঋণ ও রূপরেখা সই করেন দুই দেশের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এর বাইরে চীনের ১৫টি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের ১৫টি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এক হাজার তিনশো ৬০ কোটি ডলার বা এক লাখ ছয় হাজার কোটি টাকার বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করে। পরে দুই নেতা হাস্যোজ্জ্বল মুখে যৌথ ব্রিফ করেন।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত চীনা সরকারের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারকে (এমওইউ) সই করেন। তাতে দেশটি গুরুত্বপূর্ণ ২৮টি প্রকল্পে বাংলাদেশকে দুই হাজার দুশো কোটি ডলার ঋণ দিতে সম্মত হয়। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় পৌনে দুই লাখ কোটি টাকা। এর মধ্যে বিদ্যুৎ, জ্বালানি, অবকাঠামো উন্নয়ন, রেল ও সেতু নির্মাণ প্রকল্প রয়েছে। এ ২৮টি প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের অবকাঠামো খাত আমূল বদলে যাবে।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) অতিরিক্ত সচিব আবুল মনসুর মোহাম্মদ ফয়জুল্লাহ এসময় তিনটি উন্নয়ন প্রকল্পে ঋণ চুক্তি সই করেন। প্রকল্পগুলো হলো, কর্ণফুলী নদীর নিচে টানেল নির্মাণ, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের জন্য ছয়টি জাহাজ কেনা এবং ঢাকা ওয়াসার দাসেরকান্দি পয়োনিষ্কাশন প্রকল্প। এ তিনটি প্রকল্পে চীন সরকার ঋণ দেবে একশো ২৫ কোটি ডলার বা প্রায় দশ হাজার কোটি টাকা। বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম কর্ণফুলী নদীর নিচে টানেল নির্মাণে দেশটি ঋণ দেবে ৭০ কোটি ডলার। এছাড়া রাজধানীর পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা উন্নয়ন প্রকল্পে ৩৫ কোটি এবং ছয়টি জাহাজ কেনায় ২০ কোটি ডলার ঋণ দেবে দেশটি।
বৈঠকে নয় কোটি ডলারের আলাদা একটি অনুদান চুক্তিও সই হয়। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ সাতশো কোটি টাকা। এ অর্থ দিয়ে সরকার উপকূলীয় এলাকায় দুর্যোগকালে আগাম তথ্য দেয়ার প্রযুক্তি এবং উদ্ধারকাজ দ্রুত করতে ফায়ার সার্ভিসের জন্য এক হাজার মোটরসাইকেল কিনবে। এছাড়া শীর্ষ দুই নেতার উপস্থিতিতে শুক্রবার বেশ কয়েকটি সমঝোতা স্মারক সই হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, যেকোনো দুর্যোগে পারস্পরিক সহযোগিতা। অন্যগুলোর মধ্যে রয়েছে, শিল্প-উৎপাদনবিষয়ক রূপরেখা, বিনিয়োগ উৎপাদনশীলতা সক্ষমতা বাড়ানো এবং বাংলাদেশ-চীন সম্প্রীতির নবম, দশম ও একাদশ সেতু নির্মাণ।
চীনের জন্য চট্টগ্রামের আনোয়ারায় সাতশো ৭৪ একর জমির ওপর অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠায় দুই দেশের মধ্যে নীতিগত চুক্তি হয়। এতে সই করেন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান ও চায়না কমিউনিকেশন অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন কম্পানির চেয়ারম্যান। এছাড়া বিদ্যুতের উন্নয়নে ডিপিডিসি ও পিজিসিবির শক্তিশালীকরণে দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়।
জিনপিং ও শেখ হাসিনা একসঙ্গে ছয়টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও উদ্বোধন ফলক উন্মোচন করেন। একই সময়ে তারা সিলেট শাহজালাল ফার্টিলাইজার কম্পানি লিমিটেডের উদ্বোধন করেন। এছাড়া বাংলাদেশ ফোর টায়ার ন্যাশনাল ডাটা সেন্টার, পায়রায় কয়লাভিত্তিক ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র ও চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে কয়লাভিত্তিক ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সইয়ের বাইরে বেশকিছু বিষয় নিয়ে দুই দেশের শীর্ষ নেতার মধ্যে আলোচনা হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড, পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দর এবং বাংলাদেশ, চীন, ভারত ও মিয়ানমারের মধ্যে (বিসিআইএম) অর্থনৈতিক করিডোর। চীনের প্রেসিডেন্ট ২০১৩ সালে ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন। এর নাম ছিল সিল্ক রোড বা রেশম পথ। এটি নির্মিত হলে এশিয়ার সঙ্গে ইউরোপের সড়ক ও রেলপথে যাতায়াত সহজ হবে। ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড বাস্তবায়নের সঙ্গে ৬০টি দেশ সম্পৃক্ত, এর মধ্যে বাংলাদেশও রয়েছে। শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতা চান জিনপিং। একইসঙ্গে বাংলাদেশ-চীন-মিয়ানমার ও ভারতের মধ্যকার অর্থনৈতিক করিডোর স্থাপনের বিষয়েও সরকারের সহযোগিতা চান তিনি।
ব্রিফিংকালে চীনের প্রেসিডেন্ট বলেন, “সমুদ্র নিরাপত্তা, কাউন্টার টেররিজম ও অর্থনৈতিক করিডোর স্থাপনে প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তার বিষয়ে দু’দেশ একমত হয়েছে। এর আগে ২০১০ সালে আমি বাংলাদেশ সফরে আসি। আমি খুব খুশি, ছয় বছর পর বাংলাদেশের মতো সুন্দর একটি দেশ সফর করতে পেরেছি। চীন ও বাংলাদেশ ভালো প্রতিবেশী, ভালো বন্ধু এবং ভালো অংশীদার। আমি মনে করি, এ সফর সামগ্রিকভাবে দুই দেশের অগ্রযাত্রায় বিশেষ ভূমিকা রাখবে।”
তিনি আরো বলেন, ‘দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে শেখ হাসিনার সঙ্গে উষ্ণ ও ফলপ্রসূ বৈঠক হয়েছে। অনেক বিষয়ে কথা হয়েছে। শান্তি, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করার বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি। দুই দেশের সম্পর্ক আরো উচ্চতায় নিতে সমন্বিত নিবিড় অংশীদারত্ব সহযোগিতা গড়তে দু’দেশ একমত হয়েছে। দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, অবকাঠামো, জ্বালানি, কৃষি ও যোগাযোগ খাতে সহযোগিতা বাড়াতে একসঙ্গে কাজ করা হবে। বাংলাদেশের আর্থিক ও সামাজিক উন্নয়নে চীনের সহায়তা অব্যাহত থাকবে। সমুদ্র নিরাপত্তা, কাউন্টার টেররিজম ও অর্থনৈতিক করিডোর স্থাপনে প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তার বিষয়েও দু’দেশ একমত হয়েছে।”
২০১৭ সালকে বন্ধুত্ব ও পারস্পরিক বিনিময়ের বছর উল্লেখ করে শি চিনপিং বলেন, ‘চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক একটি নতুন ঐতিহাসিক টার্নিং পয়েন্টে এসে দাঁড়িয়েছে। একে অপরের নিবিড় সহযোগিতার এ সম্পর্ক দুই দেশের উন্নয়নেই ব্যাপক ভূমিকা রাখবে। সোনার বাংলার স্বপ্ন পূরণে বাংলাদেশের সাফল্য কামনা করেন তিনি।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দুই দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। এক চীন নীতিতে বাংলাদেশের সমর্থন আমরা পুনর্ব্যক্ত করেছি। আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে একযোগে কাজ করা এবং একে অন্যকে সমর্থন দেয়ার বিষয়েও আমরা একমত হয়েছি। এছাড়া বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, অবকাঠামো, শিল্প, বিদ্যুৎ-জ্বালানি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এবং কৃষিসহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে উন্নয়নের ক্ষেত্রে আমরা ঐকমত্যে পৌঁছেছি।”
তিনি আরো বলেন, “বৈঠকে ২৭টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করা হয়। এসব চুক্তির মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, সমুদ্র অর্থনীতি (ব্লু ইকোনমি), বাংলাদেশ-চীন-ভারত-মিয়ানমার (বিসিআইএম) অর্থনৈতিক করিডোর, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, সড়ক ও সেতু, রেলওয়ে, বিদ্যুৎ, সমুদ্রবিষয়ক, শিল্প উৎপাদন ও মানবসম্পদের দক্ষতা বাড়ানোর বিষয়গুলো রয়েছে।”
শেখ হাসিনা বলেন, “নিবিড় সমন্বিত অংশীদারত্বের সহযোগিতা থেকে সহযোগিতার জন্য কৌশলগত অংশীদারত্বের পর্যায়ে আমাদের সম্পর্ক উন্নীত হয়েছে। কৌশলগত এ অংশীদারত্বের আওতায় দু’দেশের মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়নে একযোগে কাজ করার অঙ্গীকার করেছি। আমাদের লক্ষ্য, ২০২১ সালের মধ্যে জ্ঞানভিত্তিক মধ্যম আয়ের দেশে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে উপনীত হওয়া। এ লক্ষ্য অর্জনের মধ্য দিয়ে আমরা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করব, যে বাংলাদেশ হবে ক্ষুধা, দারিদ্র্য, বঞ্চনা ও শোষণমুক্ত।”
উল্লেখ্য, ঋণ ও সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করতে চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বাংলাদেশ আসেন দেশটির বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও শীর্ষ নির্বাহীরা। তারা দুই নেতার উপস্থিতিতে বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও সচিবদের সঙ্গে বিভিন্ন প্রকল্পে ঋণ ও সমঝোতা চুক্তিগুলোতে স্বাক্ষর করেন। চীনা বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দুই দেশের মধ্যে মুক্তবাণিজ্য চুক্তি নিয়ে সম্ভাব্যতা যাচাই বিষয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন, “বাংলাদেশকে প্রায় পাঁচ হাজার পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা দিয়েছে চীন। তবু তাদের সঙ্গে বিপুল বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। এ ঘাটতি কমাতে মুক্তবাণিজ্য চুক্তির দাবি ওঠে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে। এ চুক্তির ফলে সেই পথ সুগম হবে।”
দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা বিষয়ক স্মারক ও ওয়ান রোড ইনিশিয়েটিভ বা সিল্ক রোড প্রতিষ্ঠা বিষয়ক সমঝোতা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এইচ এম মাহমুদ আলী ও চীনের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা। উৎপাদন সহযোগিতা বৃদ্ধি বিষয়ক একটি চুক্তিতে চীনের শিল্পমন্ত্রীর সঙ্গে সই করেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোজাম্মেল হক খান কাউন্টার টেররিজম বিষয়ক একটি সহযোগিতা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
এছাড়া স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ কয়েকটি সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
গ্রন্থনা ও সম্পাদনা: আবু তাহের