
ঢাকা: আনুষ্ঠানিকভাবে বৃহস্পতিবার থেকে চালু হচ্ছে বাংলাদেশ-ভারত নৌ ট্রানজিট। দুই দেশের মধ্যে এটি হবে নিয়মিত ট্রানজিট। অবকাঠামো উন্নয়ন ও জনবল সংকটসহ নানা সমস্যার মধ্যেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ নদী বন্দর দিয়ে শুরু হচ্ছে আনুষ্ঠানিক ট্রানশিপমেন্ট কার্যক্রম।
নৌ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, এর আগেও দু-একটি ক্ষেত্রে নৌ ট্রানজিট দেওয়া হয়েছিল ভারতকে। তবে সেটা ছিল অনানুষ্ঠানিক। আনুষ্ঠানিকভাবে এবারই প্রথম মাশুলের বিনিময়ে ভারতের পণ্যবাহী জাহাজ বাংলাদেশের নৌ সীমানায় প্রবেশ করছে।
এরই মধ্যে ভারতীয় একটি জাহাজ বাংলাদেশের নৌ সীমানায় প্রবেশ করেছে বলে নৌ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। জাহাজটি বুধবার আশুগঞ্জে পৌঁছেছে। বৃহস্পতিবার সকালে জাহাজ থেকে পণ্য খালাসের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হবে নৌ ট্রানজিটের। আশুগঞ্জ বন্দরে ভারত থেকে আসা পণ্য খালাস করার পর সে পণ্য ট্রাকযোগে বাংলাদেশের ওপর দিয়ে আগরতলায় নিয়ে যাওয়া হবে।
নৌ সচিব অশোক মাধব রায় বলেন, ভারতের সাতটি বন্দর থেকে পণ্য আসবে বাংলাদেশের আশুগঞ্জ বন্দরে। বাংলাদেশ থেকে সড়ক পথে পণ্য ভারতে যাবে। তিনি বলেন, যেহেতু ভারত একটি বন্দর থেকে অন্য বন্দরে পণ্য পাঠাবে, তাই ভারতই ঠিক করবে কোন পণ্য ট্রানজিট হবে। তবে নিষিদ্ধ কোনো জিনিস পরিবহন করবে না তারা। সেটা নিশ্চিত করা হবে।
নৌ প্রটোকল চুক্তিতে বন্দর ব্যবহারের বিধান না থাকায় ভারতকে এতদিন তা দেওয়া সম্ভব হয়নি। ২০১৫ সালের জুনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ সফরে এলে এই চুক্তি সংশোধন করে বাংলাদেশ। এরপর দিল্লিতে মাশুল নির্ধারণের বিষয়টি চূড়ান্ত হয়। এরপর থেকেই ট্রানজিটের বিষয়ে ভারত আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করতে থাকে।
নিউজনেক্সটবিডি ডটকম/এমএস/এসআই