
ঢাকা: ভারতের বাজার ধরতে বাংলাদেশি পণ্য শুল্কমুক্ত রফতানির সুযোগ দেয়া হয়েছে। আর এ কারণে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার বাণিজ্যের পরিমাণ দ্রুত বাড়ছে। বর্তমানে দু’দেশের মধ্যকার বাণিজ্যের পরিমাণ বেড়ে ৬ দশমিক ৩৪ বিলিয়ন ডলারে উপনীত হয়েছে।
সোমবার মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইণ্ডাস্ট্রিজের (এমসিসিআই) সম্মেলন কক্ষে ‘দ্য থার্ড কোয়ার্টারলি লাঞ্চন মিটিং ২০১৬’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাই কমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা এসব কথা বলেন।
ভারতীয় হাই কমিশনার বলেন, বাংলাদেশ থেকে ভারতে রফতানি ২০০১ থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত ছয়গুন বেড়েছে। গত বছরে ভারতে রফতানি বেড়েছে ৫০ শতাংশ। একই সময়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে রফতানি বেড়েছে ৩ দশমিক ৪ শতাংশ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে মানসম্মত উৎপাদনমুখী শিল্প গড়ে উঠেছে। কিছু কোম্পানি ভারতে বিনিয়োগের সক্ষমতা অর্জন করেছে। ভারতের বড় বড় কিছু কোম্পানি বাংলাদেশে ব্যবসা সম্প্রসারণ করেছে।
তিনি আরো বলেন, ভারতের পর্যটন খাতের আয়ে বৃহৎ অবদান রয়েছে বাংলাদেশের। বহুমুখী ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা পাঁচ বছরের জন্য ভারতের ভিসা পাবেন।
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সময়ের সন্ত্রাসী হামলার বিষয় উল্লেখ করে হর্ষ বর্ধন বলেন, সন্ত্রাস মোকাবেলায় ভারত বাংলাদেশের পাশে থাকবে। সম্প্রতি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মিটিং করেছেন। নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, সন্ত্রাস মোকাবেলায় বাংলাদেশ একা নয়, ভারতের মানুষ বাংলাদেশের পাশে আছে।
এমসিসিআই সভাপতি সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর বলেন, আমদানি-রফতানি বাধাপ্রাপ্ত হয় দুর্বল অবকাঠামোর কারণে। এরমধ্যে রয়েছে, সরু রাস্তা, ক্লিয়ারেন্স পাওয়ার জন্য অপেক্ষমাণ ট্রাকের দীর্ঘ সারি এবং সমন্বয়ের অভাব। এই সমস্ত কারণেই সময় এবং মূল্য বাড়িয়ে দেয় আমদানি রফতানির। ফলে কেউ লাভবান হতে পারে না। তাই এক্ষেত্রে যৌথ পদক্ষেপের প্রয়োজন রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশিদের জন্য ভবিষ্যতে ভারত অন-এরাইভাল ভিসা দেয়ার পরিকল্পনায় আমরা খুবই আনন্দিত। আমরা আশা করব, এই প্রকল্প বাস্তবায়নে বড় ধরনের কোনো বাধা আসবে না। সহজ ভিসা ব্যবস্থাপনা কাজের জন্য খুবই সহায়ক হবে।’
নিউজনেক্সটবিডি ডটকম/ডিএম/জাই