
ঢাকা: আসাম থেকে বাংলাদেশ হয়ে ত্রিপুরায় যাবে ভারতীয় জ্বালানিবাহী ট্রাক। এজন্য দেশের ১৪০ কি.মি. পথ ব্যবহার করবে ভারত। বৃহস্পতিবার দু’দেশের মধ্যে এমন সমঝোতাস্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। তবে সড়কের ব্যবহার ও রক্ষণাবেক্ষনের ব্যয় বাবদ নির্ধারিত ফি প্রদান করবে ভারত।
বাংলাদেশের পক্ষে সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী এবং ভারতের পক্ষে ইন্ডিয়ানওয়েল করপোরেশন লি. (আইওসিএল)-এর নির্বাহী পরিচালক চুক্তিটি স্বাক্ষর করেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারতীয় জ্বালানিবাহী ট্রাক প্রবেশ করবে দেশে তামাবিল সীমান্ত চেকপোস্ট দিয়ে। আর সিলেট ও মৌলভীবাজার দিয়ে মৌলভীবাজার জেলার চাতলাপুর চেকপোস্ট হয়ে ত্রিপুরায় প্রবেশ করবে। আবার ত্রিপুরায় জ্বালানি তেল সরবরাহের পর খালি যানবাহনসমূহ চাতলাপুর চেকপোস্ট দিয়ে পুনঃপ্রবেশ করে একই পথে ভারতে ফিরবে।
ভারী বর্ষণ এবং পাহাড়ি ভূমিধ্বসের কারণে আসাম থেকে ত্রিপুরাগামী সড়কপথ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে ত্রিপুরার সঙ্গে ভারতের অন্যান্য অঞ্চলের যোগযোগ ব্যবস্থা বন্ধ রয়েছে। এদিকে রাজ্যের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসহ জ্বালানি তেলের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। এতে জ্বালানির অভাবে ত্রিপুরার পরিবহণ ক্ষেত্রেও দুরাবস্থা বিরাজ করছে।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এবং সর্বোপরি মানবিক অবস্থা বিবেচনায় বাংলাদেশের সড়কপথ ব্যবহার করে ভারতীয় জ্বালানি তেলবাহী ট্রাক-লরি ত্রিপুরায় সাময়িকভাবে (৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ পর্যন্ত) যাতায়াত করার জন্য বাংলাদেশ সরকার অনুমোদন দিয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তি, সম্পাদনা: সজিব ঘোষ