
ঢাকা: ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট জনকল্যাণমূলক উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাজেট নিয়ে সাধারণ মানুষ খুশি কিনা তা দেখতে হবে। এটা আমাদের ১১তম বাজেট। যতটুকু আমি বলেছি তার থেকে অনেক বেশি কিছু রয়েছে বাজেটে। এই বাজেট যাতে সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হয়, সেজন্য সবাই কাজ করবে।
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শুক্রবার বিকেলে আয়োজিত ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি ১০ শতাংশে উন্নীত করা সরকারের লক্ষ্য; এসডিজি বাস্তবায়ন ও সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা সামনে রেখে বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে।
দেশের বেকার যুবসমাজের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে সরকারের লক্ষ্যমাত্রার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে ৩ কোটি যুবকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। সে লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার।
কৃষিখাতে সরকারের ভর্তুকি-প্রণোদনা অব্যাহত থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, বিভিন্ন ফসলের উৎপাদন বাড়াতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ ও প্রণোদনা থাকবে। কৃষি ভর্তুকি, ঋণ ও কৃষিপণ্য রফতানির ক্ষেত্রে প্রণোদনাও থাকবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশেকে দারিদ্র্য মুক্ত করা, উন্নত করা, সমৃদ্ধশালী করা এবং স্বাধীনতার সুফল পাওয়ার লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আগে বাইরে গেলে বাংলাদেশকে কেউ চিনতো না। এখন আমাদের সবাই চেনে। এটাই আমাদের বড় পাওনা।
সংবাদ সম্মেলনে সরকার প্রধান বলেন, এবারই প্রথম প্রস্তাবিত বাজেটে যুবকদের উদ্যোগী করে তুলতে ১০০ কোটি টাকা বিশেষ বরাদ্দ রাখা হয়েছে। নির্বাচনি ইশতেহার অনুযায়ী আমরা আমার গ্রাম আমার শহর নামে শহরের সব সুবিধা দিয়ে গ্রাম-উন্নয়নের উদ্যোগ নিয়েছি।
রীতি অনুযায়ী প্রতিবার বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন অর্থমন্ত্রী। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল অসুস্থ হওয়ায় এবার প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলন করেন শেখ হাসিনা। এর আগে বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রীর হয়ে বাজেটের বক্তৃতার একাংশ পড়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তারা।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, সরকারের পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্শি, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআরের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন, অর্থ সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার প্রমুখ।
গ্রন্থনা ও সম্পাদনা: এম কে আর