
ঢাকা: স্বপ্নকে পরিকল্পনার মধ্যে দিয়ে বাস্তব রূপ দিতেই এবারো আসছে উচ্চবিলাসী বাজেট। যেখানে ‘প্রবৃদ্ধি, উন্নয়ন ও সমতাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা’র স্লোগান নিয়ে উপস্থাপিত হতে যাচ্ছে ৩ লাখ ৪০ হাজার ৬০৫ কোটি টাকার বাজেট।
আগামী বছর মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) আকার ধরা হয়েছে ১৯ লাখ ৬১ হাজার ১৭ কোটি টাকা। যার ৫ শতাংশ ধরা হয়েছে বাজেট ঘাটতি।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেট পেশ করবেন। নতুন বাজেটে বিভিন্নখাতে সম্ভাব্য গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবনা আসছে। এই বিষয়গুলো নিচের অংশে তুলে ধরা হলো।
মোট বাজেট- ৩ লাখ ৪০ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা। ২০১৫-১৬ অর্থ বছরের চেয়ে এই বাজেট ১৮ শতাংশ বেশি।
রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা- ২ লাখ ৮ হাজার ৪৪৩ কোটি টাকা। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেটের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩০ শতাংশ বেশি।
বাজেট ঘাটতি- সাড়ে ৯৭ হাজার কোটি টাকা। অথবা জিডিপির ৫ শতাংশ।
জিডিপি প্রবৃদ্ধি- ৭ শতাংশ। (২০১৫-১৬ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা ৭.৩ শতাংশের বিপরিতে মার্চে অজির্ত হয় ৬.৫১ শতাংশ)।
মূদ্রাস্ফীতি- ৬.২ শতাংশ। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রা ৬.৫ শতাংশের নিচে।
বাষির্ক উন্নয়ন কর্মসূচী (এডিপি)- ৯৭ হাজার কোটি টাকা। এডিপির সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ২৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ বেশি এবং ২০১৫-১৬ অর্থবছরের চেয়ে ২০ দশমিক ৭৭ শতাংশ বেশি।
এনবিআরএ থেকে রাজস্ব আয়- ১ লাখ ৭৬ হাজার ৩৭০ কোটি টাকা।
ননএনবিআর রাজস্ব- ৩২ হাজার ৪শত কোটি টাকা।
নতুন বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে সাড়ে ৭ শতাংশ। মূল্যস্ফীতির হার ধরা হয়েছে ৫ দশমিক ৮ শতাংশ। আগামী বছর মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) আকার ধরা হয়েছে ১৯ লাখ ৬১ হাজার ১৭ কোটি টাকা। যার ৫ শতাংশ ধরা হয়েছে বাজেট ঘাটতি।
বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য ধরা হয়েছে ২ লাখ ৪২ হাজার ৭৫২ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড নিয়ন্ত্রিত কর ব্যবস্থা থেকে আদায় করা হবে ২ লাখ ৩ হাজার ১৫২ কোটি টাকা। এনবিআরবহির্ভূত কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ হাজার ২৫০ কোটি টাকা এবং কর-বহির্ভূত রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৩২ হাজার ৩৫০ কোটি টাকা।
নিউজনেক্সটবিডি ডটকম/এসজি