
নিজস্ব সংবাদদাতা । নিউজনেক্সট বিডি ডট কম
দেশে সর্বপ্রথম সবগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্নার এবং ডিজিটালাইজেশনের কাজ শেষ হয়েছে বানারিপাড়া ও উজিরপুর উপজেলায়।বানারীপাড়ায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংখ্যা ১২৬ টি এবং উজিরপুরে ১৮১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
এছাড়া সবগুলো মাধ্যমিক স্কুল এবং কলেজেও কাজ শেষ হয়েছে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্নার ও ডিজিটালাইজেশনের।
শতভাগ ডিজিটালাইজেশনের মধ্যে দিয়ে বানারিপাড়া ও উজিরপুরের ছাত্রছাত্রীরা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে চাকরির বাজারে নিজেদের আরও যোগ্য করে গড়ে তুলতে পারবেন বলে মনে করেন বরিশাল-২ আসনের সংসদ সদস্য শাহে আলম।

বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্নার স্থাপনের মধ্যে দিয়ে এঅঞ্চলের শিশুদের মধ্যে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা যেমন তৈরি হবে এবং আগামীর বাংলাদেশ একটি সঠিক মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের মধ্যে বেড়ে উঠবে বলে মন্তব্য করেন বানারীপাড়া প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ রফিকুল আলম। তিনি আরও জানান ‘ডিজিটালাইজেশনের ফলে প্রতিটি স্কুলে মাল্টিমিডিয়া ক্লাস রুম স্থাপন করে যতটা স্মার্ট শিক্ষা কার্যকর্ম পরিচালনা করা যায় তাই আমাদের লক্ষ্য। আমার ৭০টি স্কুলে মডেম ও ননস্টপ ডাটা প্যাকেজ দিয়েছে সরকার, বাকী গুলোতে ডিভাইস না পেলেও প্রতি মাসের ইন্টারনেট খরচ দিয়ে যাচ্ছে সরকার।’
বরিশাল জেলা শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হোসেন বলেন, বানারিপাড়াকে শতভাগ ডিজিটালাইজেশন বলতে পারেন আর উজিরপুরে ৯০ শতাংশ বলতে পারেন সেখানে অবকাঠামোর জন্যই বাকী কাজ সম্ভব হয়নি। আমাদের এমপি মহাদয় (শাহে আলম) শিক্ষানুরাগী তিনি নিজে বঙ্গবন্ধুর জন্ম থেকে এখনও পর্যন্ত তাঁকে নিয়ে লেখা, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এবং শেখ রাসেলকে নিয়ে লেখা অনেক বই সংগ্রহ করে দিয়েছেন, প্রকল্পটি বাস্তাবয়নে তিনি সরাসরি সহযোগিতা করেছেন বলে দ্রুত সময়ে সব শেষ হয়েছে।
পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী রাতুল বলেন, ‘আমি গুগোল করে নাসার ছবি দেখেছি স্যার আমাকে একদিন বঙ্গবন্ধু স্যাটালাইট কাজ করে তাও দেখিয়েছেন।’ রাতুলের বাবা মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘আমি তো ভাবতাম ছেলের স্কুল কলেজে গ্রামেই শেষ করবে এখন যে স্বপ্ন দেখে সে বড় হচ্ছে তা আমকেও নতুন করে ভাবনায় ফেলছে।’
বরিশাল-২ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. শাহে আলম এমপি বলেন, ‘শিক্ষা নিয়ে সরকারের সামগ্রিক চিন্তার প্রতিফল হচ্ছে বানারীপাড়া উজিরপুর, আমাদের সন্তানরা তৈরি হচ্ছে বিশ্ব জয়ে এটাই বড় আনন্দ। আমি যতদিন আছি ওদের স্বপ্নের সাথেই আছি।’
উল্লেখ্য, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে চাকরির বাজারের কথা বিবেচনা করে ২০৩০ সাল নাগাদ বাংলাদেশের সব মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ডিজিটাল একাডেমি অ্যান্ড সেন্টার অব এক্সিলেন্স গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবং তারই ধারাবাহিকতায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের টেলিকম অধিদফতর এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাঝে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষাকে সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজেশনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।