
সজিব ঘোষ, কুড়িগ্রাম: জীবন থমকে গেছে এখানে। দূর থেকে দেখলে মনে হবে এ যেন এক বিচ্ছিন্ন দ্বীপ। যেখানে জীবন চলে অন্য এক গতিতে। থাকে না কোনো স্বাভাবিক সমীকরণ। এখানে বন্যা মানেই কান্না। বন্যা মানেই প্রকৃতির নিয়ম। প্রতি বছরই আসবে আর বানের জলে ভাসবে মানুষ। বলছি জেলার রাজীবপুরের বিচ্ছিন্ন দ্বীপগুলোর কথা। এই অঞ্চলের মানবতা আজ মনে হয় জাদুঘরে বন্দি। জেলার বেশ কিছু বন্যা প্লাবিত অঞ্চল ঘুরে দেখেছে নিউজনেক্সটবিডি ডটকম’র বিশেষ প্রতিনিধি দল। ছবি তুলেছেন: জীবন আহাম্মেদ।
শাহ্ জামান, বয়স তার ৭০’র কাছা কাছি। তিনি বর্ননার চেষ্টা করছিলেন নিয়মিত এ যুদ্ধের কথা। তিনি জানান, বছর ঘুরলেই বন্যা আসে আর আমরা ভাসি। ভেঙ্গে নিয়ে যায় আমাদের ঘরবাড়ি। বন্যা শেষে তা আবার নতুন করে বাঁধতে হয়।
বছরে তিন মাস বন্যা। ছ’মাস চাষাবাদ, আর বাকি সময় চিন্তা করে পার হয় এ এলাকার মানুষের, এমনটাই জানালেন শাহ্ জামান। তিনি বলেন, ‘আমাদের এখানে শুধু ভুট্টা ও বাদাম ছাড়া আর কিছু চাষ করা যায় না। এক আবাদেই চলতে হয় সারা বছর। যাদের এই এক আবাদও চাষের সুযোগ নাই তারাই ভীড় জমায় ঢাকার মতো শহরে।’
এই দ্বীপের সঙ্গে পুরো জেলা একেবারেই বিচ্ছিন্ন। যোগাযোগের মাধ্যম বলতে শুধুই নৌকা। তাও যার রয়েছে তার। বাকিদের শুধুই অপেক্ষা। কবে নামবে পানি সে আশায় প্রহর গোনা।
আবেদ ইসলাম এই দ্বীপেরই আরেক বাসিন্দা। তিনি শোনালেন জীবন গতির গল্প। মেম্বার ছাড়া কোন জনপ্রতিনিধির দেখা পাওয়া যায় না সহজে। খবর নেয়ারও যেন কেউ নেই।
নিউজনেক্সটবিডি ডটকম/এসজি/পিএসএস