
চট্টগ্রাম: মাহমুদা খানম মিতু হত্যার ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশের এসপি বাবুল আক্তারকে আটকের বিষয়ে মুখ খুলছে না তদন্তকারীরা। শুক্রবার রাতে রাজধানী ঢাকার বাসা থেকে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
শনিবার সকালে এই ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে মিতু হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার কামরুজ্জামান বলেছেন, এটা নিয়ে বিশেষ কিছু বলার নেই, বাবুল আক্তার কোথায় কিভাবে আছেন সেই ব্যাপারেও আমরা কিছু জানি না।
বাবুল আক্তারের আটকের খবরে শনিবার সকাল থেকে গণমাধ্যম কর্মীরা ভিড় করে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) সদর দফতরে। কিন্তু এই ব্যাপারে টু-শব্দটি করেননি পুলিশ কর্মকর্তারা।
সিএমপির মিডিয়া সেন্টারেও পাওয়া যায়নি কোনো কর্মকর্তাকে।
বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে অতিরিক্ত কমিশনার দেবদাস ভট্টাচার্য অফিসে প্রবেশের মুহূর্তে সাংবাদিকরা তার কাছে মিতু হত্যা মামলার তদন্ত ও বাবুল আক্তরকে পুলিশ হেফাজতে নেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এই বিষয়ে কিছু অগ্রগতি আছে তবে তা বলার মতো সময় এখনো আসেনি।’
এরপরও সাংকাদিকরা দীর্ঘক্ষণ কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। নানা অনুরোধের এক পর্যায়ে দেবদাস ভট্টাচার্য় আবারো তার অফিসসের বাইরে বারান্দায় এসে সাংবাদিকদের জানান, ‘বাবুল আক্তার কিংবা এই মামলায় নতুন করে কাউকে আটকের কোনো খবর নেই, বাবুল আক্তারের বিষয়ে আমরা কিছু জানি না।’
এরপর সাংবাদিকরা যান মিতু হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার কামরুজ্জামানের কক্ষে।
কামরুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, ‘একাধিক সংস্থা এই মামলা তদন্ত করছে, কারা কিভাবে কি করছে তা আমাদের নলেজে নেই, মামলায় নতুন কোনো অগ্রগতি থাকলে জানানো হবে।’
‘এখন পর্যন্ত আবু নছর গুন্নু ও শাহজামান রবিনকে গ্রেফতারেরর পর রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে, তাদের কাছে এই মামলার ব্যাপারে কিছু জানা যায়নি, এর বাইরে আমাদের হাতে আটক আর কেউ নেই’, বলেন কামরুজ্জামান।
সাংবাদিকরা দেবদাস ভট্টাচার্য ও কামরুজ্জামানকে এই ঘটনায় বাবুল আক্তার জড়িত কিনা কিংবা মিতুর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়েছে কিনা এবং খুনের কাজে ব্যবহার হওয়া ছুরি ও পিস্তল উদ্ধার হয়েছে কিনা এই রকম আরো কিছু প্রশ্ন করলেও তারা শুধু বলেন, ‘এই ব্যাপারে আমরা কিছু জানি না।’
গত ৫ জুন নগরীর জিইসি মোড় সংলগ্ন বাসার কাছে খুন হন এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু। এই ঘটনায় বাবুল আক্তার বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন পাচলাইশ থানায়।
আর শুক্রবার রাতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাজধানীর মোরাদিয়ার বাসা থেকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয় বাবুল আক্তারকে।
নিউজনেক্সটবিডি ডটকম/এসএন/জাই