
ডেস্ক: জার্মানির বার্লিনে ক্রিসমাস মার্কেটে লরি-হামলার দায় স্বীকার করেছে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)। সোমবার মার্কেটের ব্যস্ততম সময়ে লোকজনের ওপর লরি চালিয়ে দেয়ায় ১২ জন নিহত ও ৪৯ জন আহত হন। একে ‘সন্ত্রাসী হামলা’ বলে স্বীকার করে হামলাকারীকে ধরতে তৎপরতা চালাচ্ছে জার্মান পুলিশ।
আইএসের মুখপাত্র আমাক-এ মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বলা হয়, তাদের এক ‘সৈনিক’ এ হামলা চালিয়েছে। আইএসবিরোধী সামরিক অভিযানে অংশ নেয়ায় জোটভুক্ত দেশগুলোর ওপর যে হামলা চালানো হচ্ছে, তারই অংশ হিসেবে এ হামলা চালানো হয়েছে বলে তারা দাবি করেছে।
আইএসের দাবির প্রতিক্রিয়ায় সতর্কতার সঙ্গে জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, এ বিষয়ে কয়েক পর্যায়ে তদন্ত চলছে।
তবে এ ঘটনার সঙ্গে আইএসের সংশ্লিষ্টতার কোনো তথ্য এখনও জার্মান তদন্তকারীরা পাননি জানিয়ে সিএনএনের একজন সন্ত্রাসবাদ বিশ্লেষক বলেছেন, পশ্চিমা দেশগুলোতে নিজেদের কথিত সমর্থকদের হামলা বোঝাতে জঙ্গি গোষ্ঠীটি প্রায়ই এ ধরনের কথা বলে। এতে এটা ভেবে নেয়া উচিত হবে না যে, তারাই হামলার নির্দেশনা দিয়েছে বলে দাবি করছে।
এছাড়া হামলাকারীর পরিচয় এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। এই ঘটনায় সন্দেজভাজন এক পাকিস্তানি নাগরিককে আটক করা হয়। জার্মান আইনজীবীরা জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে ছেড়ে দিয়েছেন। কারণ, তার বিষয়ে হামলার জড়িত থাকার যথেষ্ট প্রমাণ মেলেনি। আটকের পর তার পরিচয়ে শুধু বলা হয়, একজন পাকিস্তানি নাগরিক, নাম নাভিদ বি।
কর্মকর্তাদের ধারণা, হামলাকারী অথবা হামলাকারীরা পালিয়ে আছে। তবে তাদের বিষয়ে এখনো কোনো তথ্য পায়নি পুলিশ।
ফেডারেল প্রসিকিউটর পিটার ফ্রাঙ্ক জানিয়েছেন, হামলার ধরন ও লক্ষ্য থেকে বোঝা যাচ্ছে, এটি উগ্রবাদী ইসলামপন্থিদের কাজ।
সম্পাদনা: জাবেদ চৌধুরী