
ঢাকা: বাসাবাড়ির গ্যাস সংযোগ বন্ধ করে তা শিল্প খাতের জন্য সরবরাহ করা উচিৎ বলে মন্তব্য করেছেন তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির চেয়ারম্যান জ্বালানি সচিব নাজিমউদ্দিন চৌধুরী। তিনি বলেন, বাসার গ্যাস বন্ধ করে তা শিল্প খাতে দিলে মুনাফা অনেকগুণ বেড়ে যাবে। তাই মুনাফা চাইলে বাসার গ্যাস বন্ধ করা উচিৎ।
সোমবার রাজধানীর অফিসার্স ক্লাবে কোম্পানির ৩৫তম বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) তিনি এই মন্তব্য করেন। এ সময় কোম্পানি সচিব মোস্তাক আহমেদের সঞ্চালনায় কোম্পানির পরিচালক মোহাম্মদ ইকবাল, ইস্তিয়াক আহমেদ, ইঞ্জিনিয়ার খালেদ মাহমুদ, খান মনিরুল ইসলাম মোস্তাক, ইঞ্জিনিয়ার মীর মশিউর রহমান, স্বতন্ত্র পরিচালক এম রফিকুল ইসলামসহ কোম্পানির উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
নাজিমউদ্দীন চৌধুরী আরও বলেন, পেট্রো বাংলার তথ্য মতে- এখন বাসাবাড়িতে মোট গ্যাসের ২০ শতাংশ ব্যবহার হয়; যা বিক্রি করে আসে ১ হাজার ৩৪০ কোটি টাকা। অথচ এটা যদি পাওয়ার সেক্টরে সরবরাহ করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করি, তবে এই গ্যাস বিক্রি করে আসবে ৮০ হাজার কোটি টাকা। তাই বেশি মুনাফা চাইলে বাসাবাড়িতে গ্যাস সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া উচিত।
তিনি বলেন, ঢাকা শহরের নিচ দিয়ে যেভাবে গ্যাসের লাইন গেছে। যদি কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয় তাহলে বড় ধরনের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পৃথিবীর খুব কম দেশেই ন্যাচারাল গ্যাস ব্যবহারে রান্না করা হয়। এখান থেকে বেরিয়ে আসছে সবাই।
তিনি বলেন, গ্যাসের মার্জিন পুনর্মূল্যায়ন করার জন্য আমরা জ্বালানি নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বিইআরসির কাছে আবেদন করেছি। আমরা বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষা করার জন্য চেষ্টা করছি।
জানা গেছে, ২০১৪ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৬ সালের নভেম্বর পর্যন্ত সময়ে ৮২০ কিলোমিটার গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এতে সাড়ে ৪ লাখ চুলার সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। এ জন্য ৩৬৪টি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৭ টাকা ৩৭ পয়সা। এসময়ে শেয়ার প্রতি প্রকৃত সম্পদ মূল্য হয়েছে ৬২ টাকা ৬৪ পয়সা। অনুষ্ঠানে সবার উপস্থিতিতে কোম্পানির ঘোষিত ২০ শতাংশ লভ্যাংশের অনুমোদন দেয় বিনিয়োগকারীরা।
প্রতিবেদক: রিজাউল করিম, সম্পাদনা: ইয়াসিন